ঈশ্বরদীতে ভাষা শহীদ স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
ঈশ্বরদীতে ভাষা শহীদ স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
ইতিহাস টুয়েন্টিফোর প্রতিবেদকঃ
ইতিহাস টুয়েন্টিফোর প্রতিবেদকঃ
ঈশ্বরদীর ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের এক সহকারী শিক্ষক কর্তৃক নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ছাত্রী , অভিভাবক ও অন্য শিক্ষকরা শ্লীলতাহানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ১১ জুলাই সকালে ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম সিরাজের জয়নগর অবদাগেট সংলগ্ন বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই ছাত্রী। সে সময় অন্য কোন ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে না আসায় ওই শিক্ষক তাকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এসময় ছাত্রীর চিৎকারে সিরাজের স্ত্রী ছুটে এসে উল্টো ছাত্রীকে শাসিয়ে বলেন এ কথা যেন অন্য কেউ না জানে। ওই ছাত্রী সেখান থেকে স্কুলে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং সহপাঠীদের কাছে বিষয়টি খুলে বলেন।
নাম
প্রকাশে একজন শিক্ষক বলেন, ১৩ জুলাই (শনিবার) এঘটনাটি স্কুলে জুড়ে ছড়িয়ে পরলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে বিক্ষোভ করে মানববন্ধন করার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক তাদের বাধা দেন। তাছাড়া এ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছেন প্রধান শিক্ষক।
শ্লীলতাহানীর শিকার ছাত্রী বলেন, সিরাজ স্যার আমাকে একা পেয়ে শ্লীলহানির চেষ্টা করে। স্যারের এমন আচরনে আমি হতভম্ব । এবিষয়টি স্কুলে জানাজানির হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক আমার নিকট হতে একটি লিখিত নিয়েছেন ।
ছাত্রীর বাবার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট গেলে প্রধান শিক্ষক বলেন, সামাজিক কিছু বিষয় রয়েছে। মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। তাই বেশী হইচই করার দরকার নাই। আমিই ব্যবস্থা নিব।
প্রধান শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, এমন কিছুই হয়নি। সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। আমরা বিষয়টা ঠিক করে নেব। তিনি আরো বলেন, তারপরও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। সিরাজ এইস্কুলের খন্ডকালীন শিক্ষক। এ অভিযোগ সত্য হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে কিছুই জানাননি। খবর পেয়ে আমি নিজেই আজ (রবিবার) ওই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছি।
কোন মন্তব্য নেই