লালপুরে ক্রসফায়ারে ঈশ্বরদীর মানিক নিহত
ইতিহাস টুয়েন্টিফোর প্রতিবেদক- নাটোরের লালপুরে ছিনতাই,ডাকাতি, হত্যাসহ ১৫টি মামলার আসামি মানিক ওরফে সুমন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) রাত দুইটায় লালপুর উপজেলার তোপাকাটা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মানিক ঈশ্বরদীর পূর্বটেংরী মাহাতাব কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তার নামে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজ ছাত্রকে গুলি করে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় শুটার মানিককে আটক করে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সম্প্রতি লালপুরে অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটরসাইকেল ছিনতাই ও অটো চালককে গুলি করে অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার রাতে লালপুর থানা পুলিশ বড়াইগ্রাম থেকে লালপুর থানায় নিয়ে আসার সময় গোপালপুরের তোফাকাটা মোড় নামক স্থানে পৌছলে শুটার মানিকের সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে মানিক পালানোর চেষ্টাকালে গুলিবিদ্ধ হয়। উভয় পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে পুলিশ লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, হত্যাসহ মোটর সাইকেল ও অটো ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত শুটার মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য থানায় নিয়ে আসার পথে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পালানোর চেষ্টাকালে মানিক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার নামে ঈশ্বরদী, লালপুর, বড়াইগ্রামসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে। তার অপর সহযোগীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই