দিনভর নাটকীয়তার পর পাবনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীর মামলা

দিনভর নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে পাবনার সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলার বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুরে কলেজের এমএড কোর্সে অধ্যয়নরত সিরাজগঞ্জের এক অনাবাসিক ছাত্রী
বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুল হক মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের
সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে কলেজের আবাসিক হোস্টেলের গেস্ট
রুমে ডেকে অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলা শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন এমন অভিযোগে
এক নারী শিক্ষার্থী মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে,
বৃহঃস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে
পুলিশ কলেজ হোস্টেলের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ একটি কক্ষ থেকে ঐ নারী শিক্ষার্থী ও
অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে বলেও জানান ওসি। তবে, কলেজের শিক্ষার্থী ও একাধিক প্রত্যক্ষ্যদর্শী জানান, আটক হওয়া
ছাত্রী সিরাজগঞ্জ থেকে প্রতি বৃহস্পতিবার এসে দুই দিন কলেজের ছাত্রী হোষ্টেলে
অবস্থান করতেন। মাঝে মধ্যেই ওই শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ’র কক্ষে রাতে থাকতেন। বিষয়টি নিয়ে
আবাসিক শিক্ষার্থীরা চরম বিব্রত ও ক্ষুব্ধ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই ঘটনার
পুনরাবৃত্তি হলে শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে নাতে ধরে ফেলে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে
দিয়ে বিক্ষোভ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে পাশ্ববর্তী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের
শিক্ষার্থীরাও এই কলেজ ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা
ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম বাবু জানান, টিটিসি কলেজের শিক্ষার্থীদের
মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষ এবং এক ছাত্রীকে একটি কক্ষে
তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে রাত একটার দিকে পুলিশে খবর দিয়ে
অভিযুক্তদের আমরা পুলিশের হাতে তুলে দেই। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে কলেজ ক্যম্পাসে অসামাজিক কার্যকলাপে
লিপ্ত ছিলেন বলে আমরাও শুনেছি। এ বিষয়ে পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, অভিযুক্তদের
পাবনা সদর থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আটক শিক্ষার্থী সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত
অধ্যক্ষ সুজাউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে আসামীকে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই