বাল্য বিয়েঃ ঈশ্বরদীতে ছেলের বাবা ও কাজী জেল হাজতে

ছেলের বাল্য বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ঈশ্বরদীতে কাজী (বিয়ে রেজিষ্ট্রার) ও ছেলের বাবাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নে।
এঘটনায় মুলাডুলি ইউনিয়নের কাজী সিদ্দিকুর রহমান এবং ছেলের বাবা ইসরাইল হোসেন খাঁর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় ওই রাতে মামলা দায়ের হয়েছে।
আটককৃতদের শনিবার সকালে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসারইনচার্জ (তদন্ত)
অরবিন্দ সরকার এঘটনা নিশ্চিত করেছেন
ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে মুলাডুলি ইউনিয়নের খাঁপাড়া গ্রামে সিদ্দিকুররহমান কাজীর বাড়িতে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমনসংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। এসময় পুলিশ জানতে পারে, ওই কাজী গত ২৪ শে মার্চ মুলাডুলির গোয়ালবাথান গ্রামেরই ইসরাইল হোসেন খাঁর ১৮ বছরের ছেলে সাজেদুলের সাথে সাঁথিয়া থানার মোবারক হোসেনের মেয়ে ইভা খাতুনের বিয়ে দেয়। শুক্রবার কাজীর বাড়ি হতে বিয়ে তুলে দেয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে মুলাডুলি ইউনিয়নের খাঁপাড়া গ্রামে সিদ্দিকুররহমান কাজীর বাড়িতে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমনসংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। এসময় পুলিশ জানতে পারে, ওই কাজী গত ২৪ শে মার্চ মুলাডুলির গোয়ালবাথান গ্রামেরই ইসরাইল হোসেন খাঁর ১৮ বছরের ছেলে সাজেদুলের সাথে সাঁথিয়া থানার মোবারক হোসেনের মেয়ে ইভা খাতুনের বিয়ে দেয়। শুক্রবার কাজীর বাড়ি হতে বিয়ে তুলে দেয়ার আয়োজন করা হয়েছিল।
এঘটনায় পুলিশের এস আই হাসান আইন বর্হিভূত বিয়ে দেওয়ারঅভিযোগে
অভিযুক্ত কাজী সিদ্দিকুর রহমান এবং ছেলের বাবা ইসরাইল খাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ জানায়,আইনগতভাবে ছেলের বিয়ের বয়স না হলেও
মেয়ের বিয়ের বয়স ঠিকইছিল। তাই মেয়ের বাবাকে আটক করা হয়নি।
রাতে ভাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী
অফিসার শিহাব রায়হানকে জানানো হলে
তিনি আইনের বিধান অনুযায়ী নিয়মিতমামলা রুজু করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কোন মন্তব্য নেই