করোনা আতংকঃ ঈশ্বরদীতে পুলিশ দেখে পালিয়ে গেলেন জামাই

ইতিহাস
টুয়েন্টিফোর প্রতিবেদকঃ
সিলেট থেকে ঈশ্বরদীতে শ্বশুর বাড়িতে বেডাতে আসা সন্দেহভাজন এক
করোনা রোগী পুলিশের ভয়ে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির শ্বশুরবাড়িসহ তিন আত্মীয়র বাড়ি অঘোষিত লকডাউন করেছে এলাকাবাসী ।ওই তিন বাড়ির সঙ্গে গ্রামের
কারো কোন যোগাযোগ নেই। তিন বাড়ি থেকে কেউ বের হচ্ছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের দুবলাচারা মধ্যপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিলেটে রাজমিস্ত্রীর কাজ করা ওই
যুবক তার গ্রামের বাড়ি ঈশ্বরদীর বড়ইচরা আসেন। এ সময় তার সর্দি,
কাশি,
গলাব্যাথা ও জ্বর ছিল। কিন্তু তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে
সেখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার শ্বশুরবাড়ি মুলাডুলির দুবলাচারা গ্রামে অবস্থান নেন।
এ সময় তার শাশুড়ি গ্রামের কমিউনিটি হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী
জালাল উদ্দিনকে জামাইয়ের কাশি, গলাব্যথা,
জ্বর ও শ্বাসকষ্টের
বিবরণ দিয়ে ওষুধ চাইলে স্বাস্থ্য সহকারী চিন্তায় পড়ে যান। তখন তিনি এলাকার মেম্বার জাহিদ হোসেনকে
বললে তিনি ঈশ্বরদী থানায় ফোন দেন। পুলিশ বিকেলে সেখানে গেলে ওই রোগী পালিয়ে যান। পরে বাড়িটি পুলিশ লকডাউন করা হবে বলে জানালেও পুলিশ
সেখানে আর যায়নি। কিন্তু গ্রামের মানুষ তিনটি বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে না।
ওই তিন বাড়ি থেকে কেউ বেরও হচ্ছে না।
কৃষক নেতা মুরাদ মালিথা
বলেন, পুলিশ তিনটি বাড়ি লক আউট করবে বলে তাৎক্ষনিক জানালেও তারা আর আসেনি। তবে এলাকার
মানুষ তিনটি বাড়িকে অঘোষিতভাবে লকআউট করে রেখেছে। ওই তিন বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ
করছে না। আবার ওই তিন বাড়ির লোকজনও বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে মুলাডুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম মালিথা
জানান, পালিয়ে
যাওয়া ওই যুবককে
খুঁজে বের করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রশাসনকে তারা জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই