ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঈশ্বরদী এসে পরীক্ষা করে দেখলো এটি বোমা নয়

ঈশ্বরদীতে দিনভর
আতংকের পর অবশেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা
সাদৃশ্য বস্তু পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়েছেন এটি বোমা নয়। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ৮ সদস্য টিমের প্রধান পুলিশের
এসআই শফিক সেটি বোমা সাদৃশ্য বস্তুটি পরীক্ষা নীরিক্ষার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, এটি মূলত কোন
বোমা ছিল না, প্লাস্টিকের কোটার মধ্যে পোড়া মবিল, জর্দা এবং ইলেকট্রিক বাল্ব দিয়ে সেটি তৈরি এবং পলিথিনে মুড়িয়ে
বোমা সাদৃশ বস্তু বানানো হয়েছিল।
আজ ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার
সকালে উপজেলার দিয়াড় বাঘইল হাজিপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম প্রামাণিক ও আব্দুল গাফফার
প্রামাণিকের বাড়িতে বোমার মত দেখতে বস্তুটি চোখে পড়ে। এরপর থেকে জায়গাটি
ঘিরে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) ও ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

ঈশ্বরদী থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে
আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। নিরাপত্তার জন্য জায়গাটি থেকে সাধারণ
মানুষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কোন কুচক্রি মহল এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির
লক্ষ্যে কাজটি করেছে। যারাই এই ঘৃনিত কাজ করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে
আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির বলেন, ‘যেখানে বোমাসদৃশ্য
বস্তু দুটি ছিল, আমরা জানার পর
জায়গাটি কর্ডন করে রেখেছিলাম, ঢাকা থেকে বোম্ব
ডিসপোজাল ইউনিটের এক্সপার্টরা ঘটনাস্থলে এসে সেটি পরিক্ষা নিরিক্ষা করে এবং তাদের ইলেকট্রিক
ডিভাইস দিয়ে বস্তু দুটি নিস্ক্রিয় করেছে। প্রকৃতপক্ষে এটি
কোন বোম ছিল না, বোমার আদলে সেটি
তৈরি করা হয়েছিল।
এলাকার লোকজন বোমা
সাদৃশ বস্তুটি নিস্ক্রিয় হওয়ার পর সেটি যে বোমা নয় তা জেনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।এ ধরনের আতঙ্ক
যারা সৃষ্টি করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইন শৃংখলা
বাহিনীর প্রতি জোর দাবী জানান।
কোন মন্তব্য নেই