সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ঈশ্বরদী বাজারে প্রচন্ড ভীড়, সড়কে রীতিমত যানজট
![]() |
সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ঈশ্বরদী বাজারের কলেজ রোডে রীতিমত যানজট লেগে গেছে, শারীরিক দুরত্ব না মেনে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। ছবি- ইতিহাস টুয়েন্টিফোর, ৩মে, ২০২০। |
বিশেষ প্রতিবেদক-
অঘোষিত লকডাউনের ৪০ তম দিন আজ। আগামী ৫ মে পর্যন্ত সারাদেশ সাধারণ ছুটি
চললেও আরেক দফা ছুটি বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে চলেছে। দু-একদিনের মধ্যেই বাড়ানো হবে সাধারণ
ছুটি। চলমান সাধারণ ছুটিতে সরকার করোনা মোকাবেলায় কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন সকলের জন্য।
কিন্তু এই নির্দেশনা অমান্য করে ঈশ্বরদী বাজারে প্রতিদিনই প্রচণ্ড ভীড় বাড়ছে। সকাল
হলেই প্রতিদিনই বাজার এলাকা যেন হাজার হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় মুখরিত হয়ে
উঠে।
সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী বাজারের দোকানগুলির কোনটি খোলা,
কোনটি অর্ধেক খোলা আবার কোন দোকানের সামনে গেলেই চাবি হাতে দাঁড়িয়ে আছে দোকানদার। ক্রেতাদের
চাহিদা অনুযায়ী দোকান খুলে দেয়া হচ্ছে পণ্য সামগ্রী।
সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কেবলমাত্র কাঁচা বাজার, মুদি দোকান, ওষধের
দোকান খোলা থাকবে। এর মধ্যে কাঁচা বাজার সকাল ১১ টা, মুদি দোকান বিকাল ৪টা এবং ওষধের
দোকাল ২৪ টা খোলা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা
প্রশাসন। কিন্তু আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে করোনা পরিস্থিতি ভুলে ঈশ্বরদী বাজার যেন তার
চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে। ঈশ্বরদী বাজারের কাঁচা বাজার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে
বন্ধ করা হচ্ছে না।
বাজারের গার্মেন্টস, কাপড়ের দোকান, কসমেটিক্সের দোকান, স্বর্নের দোকান,
হাড়িপাতিলের দোকান সহ অন্যান্য দোকান খোলা রাখা হচ্ছে। অনেকে দোকানের দরজা বন্ধ রেখে
সামনে বসে থাকছেন। এতে বাজারের অলিগলিতে উপচে পড়া ভিড়ের সৃষ্টি হচ্ছে। মানা হচ্ছে না
সামাজিক দুরুত্ব, অনেকে মাস্ক ছাড়াই অবাধে চলাফেরা করছে।
আজ রবিবার (৩ মে) সকালে ঈশ্বরদী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার কোনো
বালাই নেই। প্রায় সকল দোকানপাট খোলা, হাজার হাজার মানুষের ভীড়, সামাজিক দুরত্ব মেনে
চলাতো দূরের কথা মানুষের সচেতনতা এক শতাংশও
বাড়েনি।
গতকাল শনিবার (২ মে) ঈশ্বরদী বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছিল। এইসময় মানুষ অন্যদিক থেকে খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় এবং মার্কেটের ছাদে চলে যায় অনেকে। আবার ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় বাজারের পরিস্থিত। প্রায়দিনই এভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের আসার খবরে বাজারের দোকানগুলোর দরজা বন্ধ হয় কিন্তু চলে যাওয়ার পর আবার ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়। এই চোর-পুলিশ খেলা ঈশ্বরদীতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকটা। মানুষের অসচেতনতা ঈশ্বরদীর পরিবেশকে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে।
এভাবে চলতে থাকলে ঈশ্বরদী বাজার চিরচেনা রূপ ফিরে পেতে সময় লাগবে না। অঘোষিত লকডাউন ও সাধারণ ছুটি মানুষের কোন উপকারেই আসবে না।
গতকাল শনিবার (২ মে) ঈশ্বরদী বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছিল। এইসময় মানুষ অন্যদিক থেকে খবর পেয়ে দোকান বন্ধ করে দেয় এবং মার্কেটের ছাদে চলে যায় অনেকে। আবার ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় বাজারের পরিস্থিত। প্রায়দিনই এভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের আসার খবরে বাজারের দোকানগুলোর দরজা বন্ধ হয় কিন্তু চলে যাওয়ার পর আবার ক্রয়-বিক্রয় শুরু হয়। এই চোর-পুলিশ খেলা ঈশ্বরদীতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে অনেকটা। মানুষের অসচেতনতা ঈশ্বরদীর পরিবেশকে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করছে।
এভাবে চলতে থাকলে ঈশ্বরদী বাজার চিরচেনা রূপ ফিরে পেতে সময় লাগবে না। অঘোষিত লকডাউন ও সাধারণ ছুটি মানুষের কোন উপকারেই আসবে না।
ইতিমধ্যে ঈশ্বরদীতে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত না হলেও শহরের বাবুপাড়ায়
করোনা উপসর্গ নিয়ে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে উপজেলা প্রশাসন নিহতের পরিবারকে
কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো আসে নিই।
কোন মন্তব্য নেই