বর্ষার প্রথম দিনেই ঈশ্বরদীতে স্বস্তির বৃষ্টি
ইতিহাস টুয়েন্টিফোর প্রতিবেদকঃ
প্রায় মাসব্যাপী তীব্র গরমে অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছিল জনজীবন। আজ বর্ষা ঋতুর প্রথম দিনে বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এসেছে ঈশ্বরদীবাসীর মনে। যেন পঞ্জিকা মেনেই আষাঢ় মাস শুরু হলো বৃষ্টি দিয়ে। কড়া রোদের তীব্রতা শেষে সকাল সাড়ে ১১টায় আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। দুপুর ১টায় বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও আকাশ জুড়ে রয়েছে বৃষ্টির আবহ। পূর্বাভাস এসেছে টানা কয়েকদিন এমন বৃষ্টিময় থাকবে আবহাওয়া।
আজ পহেলা আষাঢ়। গ্রীষ্মের টানা তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টির হাত ধরে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। গুমোট গরমের পর শেষ বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে তাই কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ঈশ্বরদীবাসীর মনে।
বাঙালির মননে সবচেয়ে বেশি রোমান্টিকতা-আধ্যাত্মিকতার সুর বেজেছে বর্ষায়। সাহিত্যজুড়ে তারই যেন প্রতিফলন। গ্রীষ্মের রুদ্র প্রকৃতির গ্লানি আর জরাকে ধুয়ে মুছে প্রশান্তি, স্নিগ্ধতা আর সবুজে ভরে তোলে বর্ষা। বহুকাল আগে কালিদাস মুগ্ধ হয়েছিলেন আষাঢ়ের রূপে। আষাঢ় শব্দটার মধ্যে কেমন একটা গুরুগম্ভীর ভাব আছে, আছে স্বপ্নাবিষ্ট এক মোহময়তা।
গানে-কবিতায় বাংলার কবিরা করেছেন বর্ষা-বন্দনা। গ্রীষ্মের খরতাপে অতিষ্ঠ প্রাণকে শীতলতা দানে জুড়ি নেই বর্ষাকালের। প্রকৃতিপ্রেমিক মানুষের কাছে তাই বর্ষা নিয়ে আসে অভিনব ব্যঞ্জনা আর কবিদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। তাই ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল’ দিয়ে প্রণয় নিবেদন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। নজরুলের কাছে বর্ষাকে মনে হয়েছে ‘বাদলের পরী’। দেশের নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যেও রয়েছে বর্ষাকে নিয়ে নানা মিথ।
কোন মন্তব্য নেই