গণধর্ষণের পর তরুণীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ৬০ টাকা!
ধর্ষণের ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হুমায়ূন
রশিদ চত্বর থেকে চ-ীপুল যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন এক তরুণী। অটোরিকশাচালক তাকে চ-ীপুল না নামিয়ে তার সহযোগীদের সহযোগিতায় তরুণীটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন মিলে সংঘবদ্ধভাবে তরুণীটিকে ধর্ষণ করে। পরে রাতের আঁধারে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি ভাড়ার জন্য ৬০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা হলে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন ঘোষগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মর্তুজা খানের ছেলে সুরমান খানকে ১৮ মার্চ গ্রেফতার করে। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার দুর্লভপুর মনতলা গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া, ওসমানীনগর উপজেলার কাপন খালপাড় গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে জামাল খান এবং একই উপজেলার নিজ করুয়া (জায়গিরদারপাড়া) গ্রামের আফতাব মিয়ার ছেলে সাইফুর রহমান বাবুলকে গ্রেফতার করে।
এর মধ্যে সোহেল মিয়া, জামাল খান ও সাইফুর রহমান বাবুল ১৮ মার্চ ধর্ষণের দায় স্বীকার করে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
কোন মন্তব্য নেই