করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠোর লকডাউন আবারো ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও সড়ক পরিবহন সম্মেলন কক্ষে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে আগামী ১১ আগস্ট থেকে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে গতকাল রোববার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, গণটিকা কর্মসূচিতে জনগণের ব্যাপক সাড়া দেখে কাণ্ডজ্ঞানহীন সমালোচনা প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণহতাশার বহিঃপ্রকাশ। অবশ্য এ নিয়ে বিএনপি কর্মীদের চেয়ে নেতারাই বেশি হতাশাগ্রস্ত। গণটিকা লোক দেখানো নয়, চোখ খুললে দেখতে পাবেন ভ্যাকসিন গ্রহণে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ততা। আমি বিএনপিকে শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী রাজনীতি থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার ডিপ অ্যান্ড এবাইডিং কমিটমেন্ট থেকে বিএনপি চাইলে অনেক কিছু শেখার আছে। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম সত্য হলো, বিএনপি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, রক্তাক্ত ষড়যন্ত্রে তাদের অতীত কলঙ্কিত। হঠকারী রাজনীতি চর্চায় তারা বর্তমানকে যেমনি বিতর্কিত করে, তেমনি হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতকেও অনিশ্চিত করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, অল্প সময়ের ব্যবধানে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্যাকসিন সংগ্রহে সফল হবে, এটি বিএনপি ভাবতেই পারেনি। তারা ভেবেছিল টিকা পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে।
তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মজুত নিয়ে সরকার সফলভাবে গণটিকা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে, এটা বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। তারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছে। এমনিতেই আগস্ট মাস এলে অতীতের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতায় তারা অন্তর্জালায় ভোগে। তার ওপর ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের সাফল্য বিএনপির অস্থিরতা এবং মর্মযন্ত্রণা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। তাইতো তারা আবোল-তাবোল বকছে।
বিজ্ঞাপন