কনের বাবার বাড়িতে বরযাত্রীদের খাওয়া-দাওয়া শেষ। এরআগে সেরে ফেলা হয় বিয়ের পর্বটিও। তবে কনেকে শ্বশুরবাড়ি নেয়ার আগ মুহূর্তে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের উপস্থিতি মাত্রই পালাতে থাকেন বরযাত্রীরা। বর ইব্রাহিম হোসেনও (২২) কিশোরী বউকে রেখে জানালা দিয়ে পালিয়ে যান। তবে আটক হন ঘটক। গতকাল রোববার বিকেল তিনটার দিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বর ইব্রাহিম হোসেন সাঁথিয়ার ফকিরপাড়া গ্রামের ফজর প্রামাণিকের ছেলে। আর কনে মো. রিপন আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কনের অভিভাবক, ঘটক ও বর কনেকে আশ্রয়দানকারী গণকে বাল্যবিবাহ সংঘটনের অপরাধে সর্বমোট ১৩ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করেন সাঁথিয়া থানার পুলিশ সদস্যরা। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ জানান, করমজায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের খবর আসে। এরপরই সাঁথিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মনিরুজ্জামান পুলিশ ফোর্সসহ মেয়ের বাবা মো. রিপন আলীর বাড়িতে যান। কিন্তু তারা পৌঁছার আগেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর জানালা দিয়ে এবং বরযাত্রীরা বিভিন্নভাবে পালিয়ে যান। তবে ঘটককে পুলিশ আটকাতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞাপন