লালপুর থেকে কণ্ঠশিল্পী রেজাউল করিমের লাশ উদ্ধার » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

লালপুর থেকে কণ্ঠশিল্পী রেজাউল করিমের লাশ উদ্ধার

SK Mohoshin
আগস্ট ১৫, ২০২১ ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

লালপুর থেকে বেতার শিল্পী ও দরিদ্র ভ্যানচালক রেজাউল করিমের গাছের ডালে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় লালপুর উপজেলার কৃষ্ণরামপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মৃত রেজাউল করিম রাজশাহীর বাঘা উপজেলার দিঘা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রেজাউল করিমের কণ্ঠে ছিল সুরের মুর্ছনা। কিন্তু অভাবের কারণে তিনি সঙ্গীতের ভালো শিল্পী হলেও বেশিদূর এগুতে পারেননি। অভাবের তাড়নায় তিনি রিকশা -ভ্যান চালিয়ে জীবন নির্বাহ করতেন। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যন্ত্র শিল্পী হিসেব কাজ করতেন।

শুক্রবার রেজাউল করিম লারপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের নিখিল সরকারের মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে বাদ্য শিল্পী হিসেবে যান এবং মিউজিক করেন। নিখিল সরকারের ভাইয়ের ছেলে মিঠুন সরকার বলেন, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি বলেন, তাঁর শরীর খারাপ করছে। তিনি একটু ঘুমাবেন। পরে মিউজিক করার সময় তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেলা ৩টার দিকে তাঁদের বাড়ির পাশের আম বাগানের একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে শনিবার রাতে পুলিশ রেজাউল করিমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যাবে।

স্থানীয় লোকজন জানান, রেজাউল করিমের বাবা একজন যাত্রা শিল্পী ছিলেন। বাবার সঙ্গে শিশু বয়সে তিনি অভিনয় করেছেন। তবে বাবার মৃত্যুর পর যাত্রার দুর্দিন নেমে এলে তিনি যাত্রা ছেড়ে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে রিকশা-ভ্যান চালাতে শুরু করেন। কিন্তু সঙ্গীতকে ছাড়েননি তিনি। যেখানে অনুষ্ঠান হতো সেখানেই ছুটে যেতেন তিনি। নিজের খেয়ালেই গান করতেন। শিল্পী হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট কদর রয়েছে। তিনি রাজহশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী ছিলেন। বর্তমানে রেজাউল করিমের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে।

 

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads