ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
ঢাকাসোমবার , ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঈশ্বরদীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি না দেয়ার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১ ৯:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈশ্বরদীর ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দেয়ার কথা বলে তিন লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী চাকরি প্রত্যাশী রাজু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ প্রদান করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চাকরি প্রত্যাশী রাজুর সমর্থনে ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের সামনে মানববন্ধন করেন গ্রামবাসী।

রাজুর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় , ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়নের চরমিরকামারিস্থ ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের সৃষ্ট তিন পদে (নিরাপত্তা কর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে চর মিরকামারি গ্রামের ছইম উদ্দিনের ছেলে রাজু আহমেদ নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ লাভের জন্য দরখাস্ত করেন। একই সঙ্গে নিয়োগ পাওয়ার আশায় গোপনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে রাজুর নিয়োগের আগে ৩ লাখ টাকা ও নিয়োগপত্র পাওয়ার পর আরো ২ লাখ টাকা প্রদানের চুক্তি হয়। সেই চুক্তিতে চাকরি প্রত্যাশী রাজু আহমেদ তার শেষ সম্বল ভিটেবাড়ি বিক্রয় করে গত ২৫ আগস্ট সন্ধ্যার পর ভাই জিয়াউল ইসলাম ও শহীদুল্লাহ সরদারকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্ধারিত নিয়োগ পরীক্ষায় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাও দেন রাজু। কিন্তু নিয়োগ কমিটি স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে প্রধান শিক্ষককে ঘুষ দিয়ে চাকরি প্রত্যাশিত রাজুর নাম নেই। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত রাজু টাকা ফেরত চাইলেও প্রধান শিক্ষক টাকা ফেরত দেননি।

রাজুর ভাই জিয়াউল ইসলাম জানান, বেকার ছোট ভাইকে কর্মসংস্থান করার জন্য ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকার মধ্যে ৩ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ কমিটিকে ম্যানজ করে রাজুকে নিয়োগ দিতে পারেনি প্রধান শিক্ষক মুক্তার। ঘুষ নেওয়া ৩ লাখ টাকাও ফেরত দেননি। প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার নামে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।

উপজেলা শিক্ষক সমিতি ঈশ্বরদী শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রবি ইতিহাস টুয়েন্টিফোরকে জানান, প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনের সভা ডেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার মুঠোফোনে জানান, ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনে শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন টাকা নিলে ব্যক্তিগতভাবে নিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
জানতে ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতন পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহীদ হাসান লিনের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কয়েকবার রিং দিয়ে ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভাষা শহীদ বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন ইতিহাস টুয়েন্টিফোরকে মুঠোফোনে জানান, বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে হয়েছে।পরীক্ষায় যারা প্রথম হয়েছেন তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রাজু আহমেদ নামে কারো কাছে থেকে আমি কোন টাকা গ্রহণ করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ।

error: Please Stop!!You can not copy this content becuase this site content is under protection. Thank You Itihas24 Developer Team