ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আজ বিমানমন্ত্রী আসছেন » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আজ বিমানমন্ত্রী আসছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ১৫, ২০২১ ১:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) আসছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক দিলারা পারভিন।বিমানবন্দর চালুর দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে ঈশ্বরদী নাগরিক কমিটিসহ রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আজ শুক্রবার বিকালে শহরের রেল গেট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়াও ঈশ্বরদী খায়রুজ্জামান বাবু বাস টার্মিনালে নির্মাণ করা হচ্ছে মঞ্চ।

দীর্ঘ ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর যখন ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে বিমান চলাচল শুরু হলে তৎকালীন বিমানমন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খান ঘোষণা দেন, আর কোনোদিন এ বিমানবন্দর বন্ধ হবে না। কিন্তু ৬ মাস ১১ দিন পর ২০১৪ সালের ২৯ মে বন্ধ হয়ে যায় বিমানবন্দরটি। ৭ বছরেও এই বিমানবন্দরে ওঠানামা করেনি কোনো বিমান। এদিকে বিমানবন্দরটিতে একজন কর্মকর্তা, ১২ জন কর্মচারী ও ১৩ জন আনসারের বেতন বাবদ প্রতি মাসে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ৬ লাখ টাকা।
তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে প্রথম বাংলাদেশ বিমান ওঠানামা শুরু করে। সেই সময় প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুটি করে ফ্লাইট চলত। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বিমানবন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামত করে ১৯৭২ সালে আবার বিমান চলাচল শুরু হয়। তখন পাবনা, কুষ্টিয়া, নাটোর ও রাজশাহীর অনেক যাত্রী ঈশ্বরদী হয়ে বিমানে ঢাকা যাতায়াত করতেন। পরে লোকসানের অজুহাতে ১৯৮৭ সালে এ রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালের ১৭ জুলাই থেকে বিমান চলাচল শুরু হলেও ১৯৯৬ সালের ৩ নভেম্বর পুনরায় বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়। এরপর যাত্রীদের দাবির মুখে ১৯৯৮ সালের ১০ মে বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার পারাবতের ফ্লাইট চালু হয়। মাত্র ৩৮ দিন চলার পর ২৮ জুন এই সার্ভিসও বন্ধ করা হয়। ১৭ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর আবার ফ্লাইট উদ্বোধন করা হলেও ৬ মাস পর আবার বন্ধ হয় বিমানবন্দরটি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী ইপিজেড, ডাল গবেষণা কেন্দ্র, রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় অফিস, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, পাবনা সুগার মিল, আলহাজ টেক্সটাইল মিল, পাকশী নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল (বর্তমানে বন্ধ), বেনারসি পল্লি, ৭ শতাধিক চালকল, অয়েল মিলসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ঈশ্বরদীতে। বর্তমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প ও ইপিজেড ঘিরে কয়েকশ’ বিদেশি নাগরিকরা এখানে বসবাস করছেন। জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাতায়াত করতে বিমানবন্দর থাকা সত্ত্বেও যাতায়াত করতে পারছেন না তারা। বারবার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ফ্লাইট চালু করার দাবি করা হলেও ঈশ্বরদী-ঢাকা-ঈশ্বরদী রুটে ফ্লাইট চালু হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস বলেন, বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ ব্যাপারে সব রকম প্রস্তুতি রাখা আছে। যাত্রীর নিশ্চয়তা পেলেই বিমানবন্দর চালু করা হবে।

ঈশ্বরদী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক দিলারা পারভিন জানান, ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে ফ্লাইট অবতরণের জন্য রানওয়ের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে এখানে বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads