ঈশ্বরদীতে এক স্বর্ণের দোকানদারকে ছুরিকাঘাত করে ৮ আনা স্বর্ণের চেইন ছিনতাইয়ের সময় কনিকা খাতুন (২৩) নামের এক মেয়ে ছিনতাইকারীকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে ঈশ্বরদী বাজারের মেইন রোডস্থ মিঠু জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়ে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু জোয়ার্দ্দার (৫৪) কে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ওই মহিলার পূর্ণ পরিচয় প্রকাশ করছে না পুলিশ।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে কনিকা খাতুন নামের ওই মেয়ে ঈশ্বরদী বাজারের ‘মিঠু জুয়েলার্স’ নামের ওই দোকানে গিয়ে প্রথমে ৮ আনা স্বর্ণের চেইন কিনতে চান। চেইনটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে দোকাদার মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু তার হাত চেপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। সে সময় ওই মেয়ে তার ব্যাগে থাকা একটি ধারালো চাকু দিয়ে দোকাদার মিঠু’র পেটে ঢুকিয়ে দৌড়ে দোকান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় দোকানদারেরা ওই মেয়েকে চাকু ও স্বর্ণের চেইনসহ আটক করে পুলিশে সৌপর্দ করে। আর গুরুতর আহত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু জোয়ার্দ্দারকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ফিরোজ কবীর জানান, মেয়েটি চেইন দেখার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে দোকাদার মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু তার হাত চেপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন। সে সময় ওই মেয়েটি তার ব্যাগে থাকা একটি ধারালো চাকু দিয়ে দোকাদার মিঠু’র পেটে ঢুকিয়ে দৌড়ে দোকান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় দোকানদারের তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই মেয়েটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তদন্তের স্বার্থে মেয়েটির নাম পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি।