লজ্জার ব্যাটিংয়ে ৮৪ রানেই অলআউট বাংলাদেশ » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

লজ্জার ব্যাটিংয়ে ৮৪ রানেই অলআউট বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক
নভেম্বর ২, ২০২১ ৬:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হতাশা আর হতাশা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা বাংলাদেশকে একরাশ হতাশাই উপহার দিয়ে গেলো। সেমিফাইনালের আশা শেষ আগেই। কাগজে-কলমে যা একটু সম্ভাবনা আছে, সেটা টিকিয়ে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) জিততেই হবে।

এমন এক ম্যাচে এবারের আসরে নিজেদের সবচেয়ে বাজে ব্যাটিংটাই দেখালো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতে ৮৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে টাইগাররা। এটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩৪ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট।

অথচ ওপেনিং জুটিতে ইতিবাচকই মনে হচ্ছিল নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। সেই ইতিবাচকতা অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি।

২২ বলে ২২ রানের জুটি গড়েই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হন এই ব্যাটার (১১ বলে ৯)।

পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁহাতি এই ব্যাটারের। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন সৌম্য।

এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মুশফিক আরও একবার হতাশাই উপহার দিয়েছেন।

নিজের আগের ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট পাওয়ায় রাবাদার হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বল কোনোমতে সামলান মুশফিক। কিন্তু তৃতীয় বলে ঠিকই উইকেট দিয়ে আসেন।

রাবাদার বাউন্সি ডেলিভারি তাল সামলাতে না পেরে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে স্লিপে হেনড্রিকসের ক্যাচ হন মিস্টার ডিপেন্ডেবল (৩ বলে ০)।

পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এরপরও ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল থামেনি।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯ বলে ৩) মুশফিকের মতোই বাউন্সি ডেলিভারির ফাঁদে পড়েন। অ্যানরিচ নর্টজের শর্ট বল টাইগার দলপতির গ্লাভস ছুঁয়ে যায় স্লিপে মার্করামের কাছে।

আম্পায়ার আউট দিলে কী মনে করে যেন শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল তার গ্লাভসে লেগেছে।

এমন বিপর্যয়ের মধ্যেও পরের ওভারের প্রথম বলেই আত্মঘাতী শট খেলতে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব। ডাউন দ্য উইকেটে এসে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে হিট করতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হন এই তরুণ। বাংলাদেশের ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের খাতায় যোগ হয় আরেকটি নাম।

লিটন একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন। অবশেষে তার উইকেটটিও তুলে নেন তাবরেজ শামসি। নিজের প্রথম ওভারে এসেই লিটনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন প্রোটিয়া স্পিনার। ৩৬ বলে লিটনের ২৪ রানের ধীরগতির ইনিংসটিতে ছিল কেবল একটি বাউন্ডারি।

এরপর তিন ওভার উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ২০ বলে ১১ করে ডাউন দ্য উইকেটে ছক্কা মারতে গিয়ে হন শামসির দ্বিতীয় শিকার।

শেষদিকে শেখ মেহেদি হাসানের ২৫ বলে ২ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ২৭ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোমতে ৮৪ পর্যন্ত গিয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অ্যানরিচ নর্টজে। মাত্র ৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। ২০ রানে ৩ উইকেট শিকার কাগিসো রাবাদারও।

 

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads