ঈশ্বরদীতে সাঁড়া এলাকায় পদ্মা নদীতে অসময়ে ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে নদী শাসন বাঁধ। ইতিমধ্যে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫০ মিটার প্রস্তের চর এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ২০১৭ সালে দুই শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নদী রক্ষা বাঁধ হুমকির সম্মুখিন। ভাঙন শুরু হওয়ায় পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা আতংকিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংসদ সংসদ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সরেজমিনে সাঁড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বাঁধের সামনের চর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। আতংকিত এলাকাবাসীরা জানান, গত ৩ দিন ধরে সাঁড়ার ব্লকপাড়া, থানা পাড়া ও ইসলামপাড়া এলাকার কিছু অংশ ব্যাপকভাবে ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রায় ৩০ একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ২০১৭ সালে রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময় নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ বা প্রটেক্টিভ ওয়ার্ক ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। তীর এলাকায় নদীর গভীরে ব্লক ও বালুর বস্তা নিয়মানুযায়ী ডাম্পিং করা হয়নি। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করেন, অপরিকল্পিত ভাবে এই এলাকায় প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু উত্তোলনের জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনে বাঁধের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে বলেন, নিয়মানুযায়ী ডাম্পিং করা হয়েছে। নদীর অপর প্রান্তের কিছুটা আগে জেগে উঠা চরে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এখন নদীর স্রোত সরাসরি প্রবাহিত না হয়ে এই এলাকায় এসে আছড়ে পড়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে হলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে। গতিপথ পরিবর্তনের জন্য দ্রুত ওই চর এলাকা জুড়ে ড্রেজিং করে স্রোতের গতিপথ পরিবর্তন করতে হবে।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস জরুরীভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নিয়ে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বাঁধ নির্মাণের আগে এই এলাকার শত শত বিঘা জমি, বাড়ি-ঘর, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এলাকার মানুষ আর যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধো আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, পৌর মেয়র ইসাহক আলী মালিথা, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ব্যরিষ্টার সৈয়দ আলী জিরু,পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পি এম ইমরুল কায়েস, ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলি, সাঁড়ার চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার, কৃষকলীগ নেতা মুরাদ মালিথাসহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।