ঈশ্বরদীতে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে সড়কের দু’ধারের প্রায় আড়াই শতাধিক সরকারী গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যার বাজার মূল্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা। দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনশিদপুর থেকে দরগাবাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধার থেকে এসব গাছ কাটা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা প্রশস্তকরনের জন্য রাস্তার দুধারে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির আড়াই শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। কে বা কারা এসব গাছ কেটেছে তাঁর কোন তথ্য নেই বন বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তা প্রশস্ত করণের জন্য দু’ধারের গাছগুলো কাটার জন্য চিহিৃত করা হয়। বন বিভাগের লোকজন গাছগুলো সিল করেন। পরে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডিলু গাছগুলো কেটে কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন।
আরেকজন জানান, প্রায় ২৫০টির মতো গাছ কাটা হয়েছে। যার বাজার মূল্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডিলু তাঁর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, আমি কোন গাছ কাটি নাই। আমার বিরুদ্ধে সবাই মিথ্যা কথা বলছে।
৬ নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার মোঃ আলাউদ্দিন খান জানান, রাস্তার দু-পাশের গাছ গুলো রোপন করেছিলো এলজিডি কর্তৃপক্ষ কিন্তু সেগুলো কাটতে দেখেছি এলাকার কিছু লোককে। আমি নির্বাচনের ব্যস্ততার কারনে কে বা কাহারা সেগুলো কেটেছে বা কেন কাটছে সেটা জানতে পারিনি।
৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মোঃ মজিবর রহমান গাছ কাটার সত্যতা স্বীকার করে জানান, রাস্তার দুধারের গাছ গুলো এলজিডি কর্তৃপক্ষ বা উপজেলা বন বিভাগের কেউই কাটেনি।
দাশুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বকুল সরদার জানান, উপজেলা বন বিভাগ গাছগুলো সিল করেছে জানতাম। তবে কে বা কারা এসব গাছ কেটেছে তা আমি জানিনা ।
ঈশ্বরদী উপজেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আমাদের মাধ্যমে গাছগুলোতে সীল করেছে, প্রকৃতপক্ষে জেলা পরিষদের আওতায় রাস্তার দুধারে বৃক্ষরোপন হয়েছিল। গাছ কাটার বিষয়ে প্রশ্ন করলে এ কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে গাছে আমরা সীল করেছিলাম।