মা হলেন পিয়ারা, বাবাকে খুঁজছে পুলিশ » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

মা হলেন পিয়ারা, বাবাকে খুঁজছে পুলিশ

বিশেষ প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২১, ২০২১ ৯:১৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিরাজগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পিয়ারা খাতুন (৩২)। কিন্তু ওই কন্যা সন্তানকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নন বিবাহিত স্বামী। পিয়ারা খাতুন জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জামিরতা গ্রামের মৃত সোরমান মণ্ডলের মেয়ে।
এদিকে ভুক্তভোগীর অভিযোগের অনুসন্ধান করতে গিয়ে গর্ভবতী মায়ের দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালে ভর্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে সিরাজগঞ্জ সিআইডি পুলিশ। মামলার সঠিক তদন্ত আর নবজাতকের দেখভালের দায়িত্ব নেয়া হবে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার।

মামলার বিবরণ ও সিআইডি সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে শাহজাদপুরের জামিরতা গ্রামের মৃত সোরমান মণ্ডলের মেয়ে পিয়ারা খাতুনের (৩২) জেলার চৌহালী উপজেলার জিদপুরে গ্রামে বিয়ে হয়। পরে পারিবারিক কারণে তালাক পান পিয়ারা। বছর খানেক আগে একই গ্রামের হাফিজুল মোবাইলে পিয়ারার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে চৌহালীর খাস কাউলিয়া কাজি অফিসের কাজী রিপনের কাছে সাক্ষী নিয়ে বিয়েও করেন তারা। পরে পোষাক কারখানায় কাজ করার জন্য দুইজনে পাড়ি জমান ঢাকার সাভারে।
এর মধ্যে পিয়ারা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন পর হাফিজুল বাচ্চা প্রসবের জন্য পিয়ারাকে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এরপরই বেঁকে বসে হাফিজুল। বিয়ে ও গর্ভের সন্তান সবকিছুই অস্বীকার করেন তিনি।
উপায়ান্তর না পেয়ে পিয়ারা চৌহালীর খাস কাউলিয়া রিপন কাজীর কাছে যায়। কিন্তু কাজী বিয়ের বিষয় অস্বীকার করে। পরে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শাহজাদপুর আদালতে বিয়ে এবং অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন পিয়ারা। অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে সিরাজগঞ্জ সিআইডি।

তদন্ত চলার মধ্যেই সোমবার (২০ ডিসেম্বর) প্রসবের ব্যাথা উঠলে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দেয় পিয়ারা। মানবিক কারণে সিআইডির কর্মকর্তা শাহজাদপুরের জামিরতা থেকে পিয়ারা সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে এনে প্রসবের সকল ব্যবস্থা করেন। পরের দিন মঙ্গলবার দুপুরে জন্ম নেয় একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান।

সিরাজগঞ্জ সিআইডির পুলিশ সুপার কামাল হোসেন জানান, মেয়েটির পিতৃত্বের পরিচয় সঠিকভাবে নিরুপনের জন্য সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন। মানবিক কারণেই তারা গর্ভবতী মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। মামলার সঠিক তদন্ত ও শিশুটির পিতৃত্ব নির্ধারণে তারা সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে অসহায় মা ও শিশুটির পাশে থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads