বুধবার সকাল থেকেই কুয়াশায়, তার ওপর থেকে থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ভোগান্তিতে পড়েন কাজে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
ঈশ্বরদীতে গত কয়েকদিন থেকেই চলছিল কুয়াশার সঙ্গে সূর্যের লুকোচুরি। সকাল থেকেই সূর্য পুরোপুরি চলে যায় ঘন কুয়াশা আর মেঘের আড়ালে।
বুধবার সকাল থেকেই মেলেনি সূর্যের দেখা । ১২ টা থেকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। । সঙ্গে কনকনে হিমেল হাওয়া দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। দিনমজুররা বলেন, ‘সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। কিন্তু আজ মহাজনেরা আসেননি। কাজ না পেয়ে আমার মতো আরও ৩০-৪০ জন ফিরে গেছেন।’
এদিকে রেলগেটে ফেরি করে সবজি বিক্রেতারা বলেন, ‘সকালে কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছিল না। বেলা বাড়লেও কোন রোদের দেখা মেলেনি। এমন পরিস্থিতে বিক্রি কমে গেছে।’
রিকশাচালকরা জানান এমনিতেই বইছে শৈত্যপ্রবাহ, তার ওপর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় মানুষজন খুব একটা বের হননি। ভাড়া পাওয়ার জন্য বৃষ্টিতে ভিজেই রাস্তায় থাকতে হচ্ছে।’
ঈশ্বরদী আবহাওয়া দপ্তরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, বুধবার ভোর ৬টায় ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।