পদ্মার তীব্র ভাঙনে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কসহ জেলার নদী তীরবর্তী দুটি উপজেলার চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষ রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। ভাঙনরোধের দাবিতে এলাকার মানুষ গতকাল বুধবার সকালে নদী তীরে মানববন্ধন করেছে।
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বহুলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর, বারুপাড়াই, তালবাড়িয়া ও ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রাম পদ্মার করাল গ্রাসে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। গত দুই বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। পদ্মার করাল গ্রাসে ইতিমধ্যে ঐ এলাকার কয়েক হাজার একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পানি কমার পর তীব্র ভাঙন দ্রুত এগিয়ে আসছে। প্রতিদিনই পদ্মার করাল গ্রাসে আবাদি জমি বিলীন হচ্ছে। এখনই ভাঙন রোধ করা না গেলে এলাকার বসতবাড়ি, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হতে পারে এলাকাবাসীর আশঙ্কা। এছাড়া উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটি নদীভাঙনের কবলে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গতকাল বুধবার সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপক্ষো করে ভাঙনকবলিত এলাকার শ শ মানুষ সাহেবনগর গ্রামসংলগ্ন পদ্মা নদী তীরে মানববন্ধন করে।
এদিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের এমপি হাসানুল হক ইনু এক বিবৃতিতে জানান, তার নির্বাচনি এলাকা কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়ীয়া ইউনিয়ন, বারুইপাড়া ইউনিয়ন, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া অংশে পদ্মা নদীর পারে অস্বাভাবিক ও ভয়াবহ ভাঙন চলছে। তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি এই ভাঙন প্রতিরোধে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন জানান, জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে ভাঙন রোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ফিজিবিলিটি স্টাডি ও প্রকল্পটি অনুমোদন সাপেক্ষে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।