এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের কারণে ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যের আটলান্টিক উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের খারাপ প্রভাবের কারণে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা
রিও ডি জেনিরোর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন মা এবং তার ছয় সন্তান রয়েছে, যারা ভূমিধসে তাদের বাড়ি ভেসে যাওয়ার সময় চাপা পড়েছিল।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এক ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারের জন্য ব্রাজিল সরকার সামরিক বিমান পাঠিয়েছে। এ ছাড়া ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স সেক্রেটারি আলেকজান্দ্রে লুকাস নিজে সেখানে ছুটে গেছেন। তিনি উদ্ধার তৎপরতা তদারকি করছেন। রাজ্যটিতে এক কোটি ৭৫ লাখ মানুষ বাস করেন।
ব্রাজিলের নৈসর্গিক শহর পেট্রোপলিসে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ২৩৩ জন নিহত হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর নতুন করে রিও ডি জেনিরোতে বন্যা দেখা দিলো।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, পন্টা নেগ্রা এলাকায় ভূমিধসে একজন মা এবং তার ছয় সন্তানের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বয়স দুই, পাঁচ, আট, দশ, পনেরো এবং সতেরো। সপ্তম শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ ছাড়া আরও চার ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আংরা ডস রেইস শহরে অন্তত দুই শিশুসহ আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। তবে এখনো পাঁচজন নিখোঁজ রয়েছেন। ভূমিধসের কারণে ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
মেয়র ফার্নান্দো জর্দাও বলেছেন, ‘জরুরি উদ্ধার কর্মীরা রাত পর্যন্ত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য ফ্লাডলাইট স্থাপন করছেন। স্থানীয় অধিবাসীরাও উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সবাই মিলো কঠোর পরিশ্রম করছি।’
এ ছাড়া রিও ডি জেনিরো থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে উত্তর-পশ্চিমের শহর মেসকুইটাতে ৩৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি অন্য একজনকে বন্যা থেকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।