সম্মেলন ছাড়াই ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে নেতা-কর্মীদের একাংশের আয়োজনে বিােভ মিছিল, পথসভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের পরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ নেতারা জেলা কমিটি কর্তৃক অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কমিটি ঘোষণায় চরম অসন্তোষ ও তীব্র ােভ প্রকাশ করে বলেন, এ কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের অবমাননা করা হয়েছে। বয়সসীমা, বৈবাহিক অবস্থাসহ সকল কিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছাত্রলীগের পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার নেতারা টাকার বিনিময়ে কমিটিতে তালিকাভূক্ত রাজাকারের নাতি, ছাত্রদলের কমিটিভূক্ত, মাদক মামলার আসামী, নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থির পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহনকৃত বিতর্কিত পরিবারের সন্তানদের উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে। এই বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা এমন কি জেলা আওয়ামী লীগও অবগত নয়। ঘোষিত পকেট কমিটি অবিলম্বে স্থগিত বা বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি নির্বাচনের দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন পৌর ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম শাওন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখাইরুল ইমন, হৃদয় হোসেন, সাফিন অরণ্য, নিশান আলী, আশিক হায়দার বিশাল, ও মারুফ হাসান জনি।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) পাবনা জেলা ছাত্রলীগের প্যাডে জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ আলী ও সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয় মেয়াদ উত্তির্ণ হওয়ায় পূর্বতন কমিটি বিলুপ্ত এবং সংগঠনকে গতিশীল ও বেগমান করার লক্ষে ছাত্রলীগের উপজেলা ও পৌর কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়।
বিজ্ঞাপন