গেল ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকার।
টাঙ্গাইলের মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় এখন পর্যন্ত তেমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না উত্তরবঙ্গগামী মানুষজনকে।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) কালিহাতীর ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কে সকাল থেকে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। ভোর থেকে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে কোথাও যানজট বা ধীরগতি নেই।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড়ে উত্তরবঙ্গগামী মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য দুটি লেন চালু করা হয়েছে। এতে সেতুর পূর্ব গোল চত্বর থেকে মোটরসাইকেলগুলো স্টক ইয়ার্ড (মালবাহী পরিবহন থেকে মালামাল আনলোডের স্থান) সড়ক দিয়ে সেতুর টোল প্লাজায় প্রবেশ করছে। এতে সকালে কয়েক শ মোটরসাইকেলের যানজট লেগে ছিল।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে প্রায় ৩৩ হাজার ৫৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। আর টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক গতিতেই যান চলাচল করছে। মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পার পর্যন্ত ৮ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে মানুষ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।
এদিকে প্রতিবারের মতো এবারও মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে খোলা ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছে।
তবে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেন সুবিধা পেয়ে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে আসতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত দুই লেনের কারণে যানবাহনের গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছেন যানবাহন চালকরা।
মহাসড়কের এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, গাড়ির চাপ আস্তে আস্তে বাড়ছে। তবে কোথাও যানবাহন চলাচল থেমে নেই। পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে সড়কে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়ক পরিদর্শন করেছেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) নুরে আলম মিনা।
তিনি বলেন, ঈদকেন্দ্রিক শ্রমিকদের যাতে একসঙ্গে ছুটি না দেয় এবং বিভিন্ন দিনে ছুটি দেয় তার জন্য সংশ্লিষ্ট গামেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ঈদগুলো থেকে এবার ঈদযাত্রায় পুলিশ প্রশাসন বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের নজরদারি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এবার ঈদে মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারবে।