টিটিই শফিকুল নির্দোষ প্রমানিত, অভিযোগকারীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

টিটিই শফিকুল নির্দোষ প্রমানিত, অভিযোগকারীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১৬, ২০২২ ১:১৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনের টিটিই শফিকুল ইসলাম বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত’র লিখিত অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় জমা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলামের নিকট তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক সাজেদুল ইসলাম বাবু প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছেন। প্রতিবেদনে টিটিই শফিকুল ইসলাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের গার্ড শরিফুল এবং অভিযোগ দাখিলকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত অভিযুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে  জানান, প্রতিবেদনটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হবে। প্রতিবেদনের ফলাফল প্রসঙ্গে ডিআরএম জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ওই দিনের ঘটনার জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলামের প্ররোচনায় যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিত মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

রেলের টিটিই বরখাস্তের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিরেলের টিটিই বরখাস্তের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিষয়বস্তুর আলোকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তদন্তকালে ট্রেনে কর্তব্যরত এবং সংশ্লিষ্ট ৯ জনের লিখিত ও ক্রসড প্রশ্নোত্তর গ্রহণ করা হয়েছে। এতে টিটিই শফিকুল নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম প্ররোচনার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন। দক্ষতা ও শৃংখলা বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তকে গণমাধ্যমের সামনে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিকট ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঈশ্বরদী রেল জংশন হতে ৫ মে রাতে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকেট ছাড়া এসি কেবিনে উঠে বসেন রেলপথমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়দানকারী তিন যাত্রী। রেলের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম জরিমানাসহ তাদের টিকিট বানিয়ে দিয়ে রোষানলে পড়েন। ওই তিন যাত্রীর মধ্যে ইমরুল কায়েস প্রান্ত টিটিই’র বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অশোভন আচরণের অভিযোগ দেন।

ওই ট্রেনে ডিউটিরত অবস্থায় পাকশী বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন শফিকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশ হলে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ৮ মে রেলমন্ত্রীর নির্দেশে টিটিই শফিকুলের বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রথমে তিনদিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমাদানের কথা বলা হলেও পরে আরও ২ দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। ১২ই মে ছিলো প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওইদিন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়নি। এরই মধ্যে সাপ্তাহিক শেষে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়েছে।

 

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads