কাঁটার ঝামেলা এড়িয়ে মাছ খাওয়ার রেসিপি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি, এই মাছে-ভাতে বাঙালি হিসেবেই যেন থাকতে পারি। অনেকে মাছ খেতে চায় না, মাছের কাঁটা একটা সমস্যা। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত করলে এই কাঁটাও নরম করে ফেলা যায় ও খাওয়া যায়। সেটা কিন্তু খুব বেশি কঠিনও না, এমনকি ঘরেও এটা আপনারা করতে পারেন।
রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ উদ্যাপন এবং ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা যদি প্রেশার কুকারে মাছ একঘণ্টা ১০ মিনিট সিদ্ধ করেন, মাছের কাঁটা নরম হয়ে যাবে। মাছ মাছের মতোই থাকবে, কিন্তু কাঁটা নরম হয়ে যাবে। আপনারা সেটা বাচ্চাদেরও খাওয়াতে পারবেন। এতে কোনো অসুবিধা হয় না। আমরা কিন্তু এটা করি।
এ সময় তিনি হেসে বলেন, একটু রেসিপিও দিয়ে দিলাম। যাতে মাছ খাওয়ার ক্ষেত্রে কাঁটার সমস্যা না থাকে।
প্রক্রিয়াজাত মাছ দেশের নতুন রফতানি পণ্য হতে পারে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইলিশ মাছ একটু বেশি সময় লাগে। এটা সমুদ্রের মাছ। অন্য মাছ আরও কম সময়ে হয়ে যায়। এটা হলো ঘরের রেসিপি। কিন্তু আমরা যদি এ ধরনের শিল্প গড়ে তুলি যে, প্রেশার দিয়ে মাছ যেমন আছে দেখতে তেমনই থাকবে কিন্তু কাঁটাগুলো নরম হয়ে যাবে। এই ধরনের মাছ যদি টিনজাত করতে পারি এবং দেশে বিদেশে রফতানি করতে পারি, পৃথিবীর বহু দেশ এই মাছ নেবে। এছাড়া মাছের তৈরি বিভিন্ন পণ্য আমরা রফতানি করতে পারব।
এ ধরনের উদ্ভাবনী খাতে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি নতুন প্রজন্ম এগিয়ে এলে দেশে বেকারত্ব হ্রাস পাবে। কর্মসংস্থান হবে। সেই সাথে সাথে দেশও রফতানিযোগ্য পণ্য পাবে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদাও মিটবে।
‘মাছের আবাসস্থল তৈরির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি পাওয়া যায় মাছ থেকে। এজন্য পানির প্রবাহ ভালো রাখতে হবে, পানি যাতে দূষণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের যে চাহিদা সে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মাছ আমরা এখন উৎপাদন করতে পারি,’ বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন