তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। একটা সময় মনে হচ্ছিল স্বাগতিকরা ১০০ পার করতে পারবে তো! কিন্তু লেট মিডল অর্ডারে রায়ান বার্ল আর লুক জঙ্গে পথ খুঁজে দেন দিশাহারা ইনিংসের। শেষ অবধি জিম্বাবুয়ে ১৫৬ রানের সংগ্রহ পেয়েছে। স্বাগতিকদের সিরিজ জিততে ১৫৭ রান করতে হবে বাংলাদেশের।
মঙ্গলবার হারারেতে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৫৬ রান করে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। তাই শেষ ম্যাচটি তাই সিরিজ নির্ধারণী।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ের শুরুটা একদম মন্দ হয়নি। তবে রেজিস চাকাভা ও ক্রেইগ আরভিনের ২৯ রানের জুটি ভেঙে যায় নাসুম আহমেদের কল্যাণে। ২ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৭ রান করে আফিফ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান চাকাভা।
এরপর এক ওভারেই জোড়া সাফল্য পেয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপে ফেলে দেন মেহেদি হাসান। প্রথমে ৮ বলে ৫ রান করা ওয়েসলি মাদাভিরাকে বোল্ড করেন দারুণ এক বলে। এরপর সিকান্দার রাজাকে প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন মুস্তাফিজুর রহমানের হাতে।
৮ বলে ২ রান করে আউট হন শেন উইলিয়ামসও। বাজে শটে মোসাদ্দেকের বলে এই ব্যাটার ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। অনেক্ষণ ধরে ক্রিজে থাকা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনও সুবিধা করতে পারেননি খুব একটা। ২৭ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রথম বলেই।
তার বিদায়ের পরই যেন পথ খুঁজে পায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। নাসুমের করা ইনিংসের ১৫তম ওভারে চড়াও হন রায়ান বার্ল। ৫ ছক্কার সঙ্গে ১ চারে নাসুমের ওই ওভারে তিনি নেন ৩৪ রান। এরপরও নিজের ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন বার্ল, তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন লুক জঙ্গে।
বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে বাউন্ডারি মারতে থাকেন তারা। শেষ অবধি দুজনের জুটি থেকে আসে ৭৯ রান। ২০ বলে ৩৫ রান করা লুক জঙ্গেকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। এরপর ভয়ঙ্কর হওয়া বার্লকেও আউট করেন এই তরুণ পেসার।
তার বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৪ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান। ১টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, নাসুম আহমেদ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
বিজ্ঞাপন