পদ্মা সেতুর টোল আদায় ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ২৬ জুন থেকে ৬ আগস্ট (শনিবার) পর্যন্ত ৪২ দিনে দুই প্রান্তে (মাওয়া ও জাজিরা) যানবাহন পারাপার হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৮১ টি এবং এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১০১ কোটি ৯ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
পদ্মা সেতু থেকে প্রতিদিন গড়ে টোল আদায়ের হার প্রায় আড়াই কোটি টাকা এবং গড়ে প্রতিদিন যানবাহন পারাপার হয়েছে প্রায় ২০ হাজার করে। সেতু চালুর পর থেকেই নির্বিঘ্নে দিনরাত অবিরাম যানবাহন পারাপার হওয়ায় দিন বদলের হাওয়া বাইছে চারদিকে।
যান চলাচলের প্রথম দিন ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে ১৮ ঘণ্টায় মোটারসাইকেলসহ রেকর্ডসংখ্যক ৫১ হাজার ৩১৬টি যান পারাপার হয়, যা থেকে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৯ লাখ ৩১ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২৬ হাজার ৫৮৯টি যানবাহনের টোল উঠেছে এক কোটি আট লাখ ৮৭ হাজার ১৫০ টাকা।
জাজিরা প্রান্তে ২৪ হাজার ৭২৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল উঠেছে এক কোটি ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা।
৮ জুলাই পদ্মা সেতু দিয়ে ৩১ হাজার ৭২৩টি যান পারাপারে আয় হয়েছে রেকর্ড অঙ্কের সর্বোচ্চ চার কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ১৯ হাজার ৬৬৭টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয় দুই কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা। জাজিরা প্রান্তে ১২ হাজার ৫৬টি যানবাহনের বিপরীতে টোল আদায় হয় এক কোটি ৭১ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথম এক মাসে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে পাড়ি দিয়েছে ছয় লাখ ১৭ হাজার ৫৫ যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি নয় লাখ ৯১ হাজার ৩৫০ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে সেতুতে টোল আদায় ৭৬ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস সময় সংবাদকে জানান, ৪১ দিনে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতু পাড়ি দিয়েছে তিন লাখ ৯৬ হাজার ১৩৮টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৫০ কোটি ৬৪ লাখ দুই হাজার ৯০০ টাকা।
অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাড়ি দিয়েছে তিন লাখ ৯৩ হাজার ১০২টি যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ৫০ কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকা।
বিজ্ঞাপন