টেলিটকের ফাইভ-জি প্রকল্প স্থগিত করে ফোর-জি নেটওয়ার্ক আরো শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। সভায় সভাপতিত্বও করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনে করেন টেলিটকের ফাইভ-জি প্রকল্প এখনই দরকার নেই। দেশের সব জায়গায় আগে ফোর-জি নিশ্চিত করা উচিত।
নাফ নদী, টেকনাফ ও বঙ্গোপসাগরের পোল্ডারসহ (সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা জমি) কক্সবাজার এলাকার বাঁধগুলোতে বেশি বেশি ঝাউগাছ লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের পোল্ডারে বেশি বেশি ঝাউগাছ লাগাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে করে বেড়িবাঁধ টেকসই হবে।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেশি বেশি গবেষণা করতে বলেছেন। বিশেষ করে তিলের বিষয়ে গবেষণা করতে বলেছেন।’
তিনি বলেন, সভায় মোট ৭টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭ কোটি টাকা। এ টাকার মধ্যে সরকারি অর্থায়নে ১ হাজার ৮৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ৫৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সাহায্য ১২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
একনেকে ২ হাজার কোটি টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন…
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা উন্নত করতে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদী বরাবর পোল্ডারগুলোর (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭/বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন (১ম সংশোধিত)’; ‘বিনা’র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ’; ‘নির্বাচিত পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনগুলোর জন্য বেলারুশ থেকে যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম সংগ্রহ’। ‘উত্তরা লেক উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’; ‘ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন’; ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ’; ‘কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রাজশাহী (১ম সংশোধিত)’।
সভায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন