সংগঠনে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজেদের মধ্যে অযথা দল ভারী করতে হঠাৎ করে সংগঠনে যাকে তাকে নেয়া যাবে না। কেননা অনুপ্রবেশকারীরা দলে এসে নানা অপকর্ম শুরু করে। এদের কোনো আদর্শ থাকে না। কিভাবে দলের নাম ভাঙিয়ে নিজের আখের গোছানো যায় সেদিকেই ব্যস্ত থাকে। এ সময় দেশ বিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বুধবার (৩১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় আয়োজিত এ স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ। সংগঠনটির সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা এ স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে পরিচালনা করতে প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। শুধু রাজনীতি করলেই হবে না সবার আগে নিজেদের লেখাপড়া নিশ্চিত করতে হবে।
বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের সব দেশেই জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে টাকা দিয়েও বিশ্বের খাবার কিনতে পাওয়া যাবে না। কাজেই আমাদেরকে এখন থেকে সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের যতোটুকু জায়গা আছে সেখানে চাষাবাদ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। এ সময় দুই এক মাসের মধ্যে লোডশেডিংও কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ৭৫ জাতির পিতাকে শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা স্বাধীনতাকেও বিকৃত করেছিল। স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তিটি জাতির পিতার খুনিদের পুরষ্কৃত করেছিল। রাজনীতিতে পুনরবাসন করেছিল। সেই শক্তি কিন্তু এখনো শক্তি আছে। ছাত্রলীগকে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিজ্ঞাপন