ঈশ্বরদীতে মোরগের আল্লাহ আল্লাহ ডাকে বিস্মিত এলাকাবাসী। মোরগের কন্ঠে আল্লাহ আল্লাহ ডাক শুনতে প্রতিদিন দুরদুরান্ত থেকে মানুষ বাড়িতে ভিড় করছেন। প্রয়োজনের তাগিদে মোরগ ধরে বিক্রি বা জবাই করতে গেলেই মোরগ আল্লাহ আল্লাহ ডাক শুরু করে। মোরগের মালিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ মোরগ আর বিক্রি বা জবাই করবে না।
উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মানিককৌড় (ডিগ্রিপাড়া) গ্রামের সাইদার হোসেন মোল্লার বাড়িতে প্রায় এক মাস ধরে মোরগের এ ডাক শুনছেন এলাকাবাসী।
সাইদার মোল্লা জানান, সংসারের বাড়তি উপার্জনের জন্য মোরগ-মুরগী পালন করি। তিনটি মোরগ বড় হওয়ার পর দুইটি পাশের বাড়ি বিক্রি করি এবং একটি নিজেরা জবাই করি খাই। পাশের বাড়ি দুইটির মধ্যে একটি জবাই করে খাওয়ার পরের দিন এই মোরগ জবাই করতে গেলে আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাকতে শুরু করে। তখন তারা জবাই না করে মোরগটি ফেরত দেয়। এরপর থেকেই মোরগ ধরলেই আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাক শুরু করে দেয়। এজন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ মোরগ বিক্রি বা জবাই করবো না। যে কয়দিন বাঁচে এভাবেই থাকবে।
হৃদয় হোসেন (২৫) জানান, মোরগটি আমি জবাই করতে গিয়েছিলাম। যখন চাকু হাতে নিয়েছি তখনই আল্লাহ আল্লাহ ডাক শুনে আর জবাই করিনি। এরপর থেকে মোরগটির কণ্ঠে আল্লাহ আল্লাহ ডাক শুনতে পাচ্ছি। এমনকি আশপাশে ঘুরাঘুরি করার সময়ও মাঝে মধ্যেই আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাকতে থাকেন।
তানিয়া খাতুন (৪৫) জানান, ১৬ আগষ্ট সাইদার মোল্লার নিকট থেকে দুইটি মোরগ কিনেছিলাম। এরমধ্যে একটি জবাই করেছি। এই মোরগটি জবাই করার সময় আল্লাহ আল্লাহ বলে ডাক দেয়। তখন জবাই না করে মোরগটি তাকে ফেরত দিয়েছি। প্রতিদিনই দুর-দুরান্ত থেকে মানুষজন এ মোরগ দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
এলাকাবাসী সাথী খাতুন (২৫) জানান, মোরগের মুখে আল্লাহ ডাক শুনা যাচ্ছে এটি জানার পর দেখতে এসেছিলাম। মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ ডাক শুনে আমি বিস্মিত। সুস্পষ্ট আল্লাহ ডাক শুনতে আমাদের মতো অনেকেই এসেছেন।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার জাগো নিউজকে জানান, আমি লোকমুখে ঘটনাটি শুনেছি। আজ যে কোন সময় নিজেই ওই মোরগের কণ্ঠে আল্লাহ ডাক শুনতে যাবো।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, এটি একটি ব্যতিক্রম ঘটনা। আমি এ বিষয়ে কয়েকজন বিশেষজ্ঞর সঙ্গে কথা বলেছি। এটির বৈজ্ঞানিক কোন ব্যাখ্যা নেই। তবে হরমনের কারণেও এমনটি হতে পারে।
বিজ্ঞাপন