ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
ঢাকারবিবার , ২৬ মার্চ ২০২৩

রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালক হত্যা মামলার আসামী সীমা খাতুনে রিমান্ড মঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৬, ২০২৩ ৯:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈশ্বরদীতে নির্মানাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিকিমথ কোম্পানির গাড়িচালক সম্রাট খান হত্যার ঘটনায় আটক সীমা খাতুনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে পাবনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সীমা খাতুনকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে  বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার আসামী সীমা খাতুনের রিমান্ডের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এ মামলার অপর আসামী সীমা খাতুনের স্বামী মমিন হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সীমা খাতুনকে গ্রেফতারের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যাকান্ড বিষয়ে সীমার বক্তব্যে পুলিশ সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট হতে না পারায় আদালতের কাছে প্রার্থনা করা হয় রিমান্ড।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, সীমাকে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও আমরা আরও অধিকতর তদন্তের জন্য রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করি। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। আশা করছি স¤্রাট হত্যার সকল রহস্য উদঘাটিত হবে।

নিহত সম্রাটের বাবা আবু বক্কার জানান, সম্রাট তার বন্ধু মমিনকে রূপপুর প্রকল্পের গাড়ি চালকের চাকরি দিয়েছিল। তার সেই চাকরি চলে গেলে অ সম্রাট আবারও তাকে শ্রমিক হিসেবে চাকরি পাইয়ে দেয়। আমার ছেলে নিকিমথ কোম্পানিতে কয়েকটি গাড়ি ভাড়াও দিয়েছিল। প্রতি মাসে বড় অঙ্কের টাকা বিল তুলতো। গত বৃহস্পতিবার বিল হয়। আমার ছেলেকে স্বামী-স্ত্রী কৌশলে ডেকে নিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তাকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করছি।
প্রসঙ্গত: নিখোঁজের দুই দিন পর শনিবার সকালে কুষ্টিয়া-পাবনার সীমান্তবর্তী শিলাইদহ ঘাট এলাকায় প্রাডো গাড়ির মধ্যে থেকে চালক সম্রাট খানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সম্রাট হোসেন (২৫) ঈশ্বরদী পৌর শহরের মধ্য অরণকোলা (আলহাজ ক্যাম্প) এলাকার আবু বক্কার সিদ্দিকের ছেলে। পুলিশ এঘটনায় নিহত সম্রাটের বন্ধু একই উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের স্ত্রী সীমা খাতুনকে (৩০) আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সীমা খাতুন স্বীকার করে যে সম্রাটকে তিনিই হত্যা করেছেন। আর লাশ বস্তায় ভরে প্রাডো গাড়িতে তুলে স্বামী মমিন নিয়ে যায়। এরপর থেকেই মমিন পলাতক।

error: Please Stop!!You can not copy this content becuase this site content is under protection. Thank You Itihas24 Developer Team