ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদন
সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৪:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (উড়ালসড়ক) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্সপ্রেসওয়েতে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উদ্বোধনের পর টোল পরিশোধ করে প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে উড়ালসড়কে উঠেন। এক্সপ্রেসওয়ের বিজয় সরণি প্রান্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার গাড়িবহর নিয়ে আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে যান। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের বক্তব্য দেবেন।

আজ উদ্বোধন হলেও এক্সপ্রেসওয়েতে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। তবে পথচারী, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহনে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারবে না। এ সড়ক দিয়ে বিমানবন্দর থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবে ফার্মগেটে। আগের মতো আর যানজটে বসে থাকতে হবে না।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কারণে টোলের টাকা থেকে নির্মাণ ব্যয় তোলা হবে। এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে হলে দিতে হবে নির্ধারিত টোল। দ্রুতগতিতে ও নিরাপদে যাতে গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেজন্য দুই ও তিন চাকার গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না।

প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও হালকা ট্রাককে ৮০ টাকা, বাস ও মিনিবাস ১৬০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ৩২০ টাকা এবং ভারী ট্রাক বা ট্রেইলরে ৪০০ টাকা টোল দিতে হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের সামনে নামছে একটি র‌্যাম্প। এর মধ্যে বনানী ও মহাখালীর দুটি র‌্যাম্পের কাজ শেষ হয়নি। এজন্য আপাতত র‌্যাম্প দুটি বন্ধ থাকবে।

সরকারের সেতু বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ে। মূল উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠা-নামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প (সংযোগ সড়ক) রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট এই সাড়ে ১১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে স্বাভাবিকভাবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগত। কোনো কোনো সময় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টাও লেগে যায়। তবে এক্সপ্রেসওয়েতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১২ মিনিট।

বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট যেতে কাওলা, কুড়িল আর গলফ ক্লাবে ওঠার ব্যবস্থা থাকবে। একদিকে নামা যাবে বনানী ও মহাখালী আর ফার্মগেটে। অন্যদিকে, তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর যেতে বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই প্রান্ত আর বনানী থেকে থাকবে ওঠার ব্যবস্থা। নামা যাবে মহাখালী, বনানী, কুড়িল ও বিমানবন্দর এলাকায়।

উড়ালসড়কটি কাওলা থেকে কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকা পর্যন্ত যাবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে ঢাকার যানজট অনেকটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads