দেশবরেণ্য শিল্পপতি ও স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরীর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ৮৬ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পাবনার এস্ট্রাস খামারবাড়িতে প্রার্থনা সভা এবং পাবনা প্রেস ক্লাবে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে।
স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুরের কাশিয়ানী থানার আড়ুয়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতে পড়াশোনা শেষে ১৯৫২ সালে পাবনার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই ব্যবসার প্রতি তাঁর আগ্রহ ছিল। প্রথমে নিজে বাবার নামের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি করেন ‘ই-সনস’ নামক ওষুধ তৈরির কারখানা। পরে বাবার কাছ থেকে পুঁজি নিয়ে নেমে পড়েন ফার্মেসি ব্যবসায়; চার বন্ধু মিলে গড়ে তোলেন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস নামে ওষুধ কারখানা। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন স্কয়ার গ্রুপ। ৬৬ বছর আগে স্যামসন এইচ চৌধুরীর নেতৃত্বে পাবনা শহরে শালগাড়িয়া এলাকায় যে ছোট্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সেটি আজ মহীরুহ। স্কয়ার এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এ গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। বর্তমানে স্কয়ার ফার্মায় ৩০ হাজারসহ স্কয়ার গ্রুপে ৬০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে স্যামসন এইচ চৌধুরীর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। পাবনায় অনিতা-স্যামসন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার স্থায়ী ব্যবস্থা করে গেছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার পাশাপাশি নিভৃতে সমাজসেবা ও মানবসেবা করেছেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। জীবদ্দশায় স্যামসন চৌধুরী অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং তিনি তাঁর কীর্তির জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাঁর আদর্শ, নীতিবোধ, ত্যাগ, মহানুভবতা ও সেবামূলক নানামুখী কর্মকাণ্ডের কারণে সর্বস্তরের মানুষ তাঁকে স্মরণ করে।
বিজ্ঞাপন