ট্রেনে টিকিট কারসাজি » Itihas24.com
ঈশ্বরদী১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ট্রেনে টিকিট কারসাজি

SK Mohoshin
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২ ৯:৫৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ছোট মামা তার পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসবেন। তাই অনলাইনেই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন ভাগনে সোহেল রানা। তিনি এই টিকিট আর ফেরত দেননি। কিন্তু কেউ একজন টিকিট চারটি কাউন্টারে ফেরত দিয়েছেন। সোহেল বলছেন, রেলওয়েরই কেউ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
সোহেল রানার বাড়ি রাজশাহীতে। মঙ্গলবার দুপুরে তার মামা মো. নাদিম বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রাজশাহী আসছিলেন। নাদিম দেখেছেন, তাদের আসনের টিকিটগুলো ফেরত দেওয়ার কারণে আসনগুলোতে অন্য যাত্রীরা বসেছিলেন। ট্রেন থেকেই নাদিম জানিয়েছেন, শুধু তাদের টিকিটের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা নয়, আরো কয়েকজনের সঙ্গেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে তিনি এ রকম আরো চারজনকে দেখেছেন।
সোহেল জানান, তার মামার পরিবারের জন্য তিনি মঙ্গলবারের ঢাকা-রাজশাহী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘গ’ বগির ৩৯, ৪১, ৪৩ ও ৫১ নম্বর আসনের টিকিট কেটেছিলেন। ২ হাজার ৯০০ টাকায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনি এসি কোচের এসব টিকিট কাটেন। ৫ ফেব্রুয়ারি সোহেল তার এক কর্মচারীকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট প্রিন্ট করতে পাঠান। কিন্তু তখন টিকিট প্রিন্ট হচ্ছিল না। তাই পরদিন ডাকা হয়। পরেরদিন আবার গেলেও টিকিট প্রিন্ট হয়নি।
মঙ্গলবার সোহেলের মামা নাদিম কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে জানতে পারেন, তাদের টিকিটগুলো রিফান্ড করে নেয়া হয়েছে। তখন পরিচিত এক রেল কর্মকর্তা নাদিমের পরিবারকে ওই ট্রেনে রাজশাহী আসার সুযোগ করে দেন। নাদিম ট্রেনে উঠে দেখেন, ৩৯, ৪১, ৪৩ ও ৫১ নম্বর আসনে অন্য যাত্রীরা বসে আছেন। তারা কাউন্টার থেকে স্বাভাবিকভাবেই টিকিট কেটেছেন। নাদিম জানিয়েছেন, ট্রেনে তিনি আরো কয়েকজনের টিকিট নিয়ে এ ধরনের সমস্যা দেখেছেন। তারা কেউ টিকিট ফেরত দেননি। কিন্তু ফেরত হয়ে গেছে।
সোহেল রানা বলেন, ট্রেনের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি হয়। কিন্তু এ ধরনের সমস্যা আগে কখনও দেখিনি। এটা রেলেরই কেউ না করলে অন্য কেউ করতে পারবে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্সিয়াল অফিসার (সিসিএম) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, এ রকম ঘটনা তিনিও কখনও শোনেননি। তিনি এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে আসন নম্বরগুলো নেন। জানান, টিকিট ছাড়া রিফান্ড করা যায় না। চলন্ত ট্রেনেই তিনি লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
পশ্চিম রেলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারও বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা তিনি আগে শোনেননি। তিনি বলেন, ‘আমি প্রকৌশল বিভাগের লোক। এ ধরনের ঘটনা নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাও যাত্রীর টিকিট কীভাবে রিফান্ড হলো সেটা আমি দেখার চেষ্টা করব।’

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads