শিশুদের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর » Itihas24.com
ঈশ্বরদী১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শিশুদের কাছে প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ৪:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

শিশুকিশোরদের সামনে দেশের বিজয় ও নানাক্ষেত্রে অর্জনের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রকৃত ইতিহাস জানলে শিশু-কিশোররা যেমন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে, স্বার্থপরের মতো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে দেশের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণে কিছু করার একটা আগ্রহের সৃষ্টি হবে। তাদের মধ্যে একটা চেতনা আসবে। যেটা আমাদের জন্য খুবই দরকার।

রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর ভিত্তি করে আঁকা একটি স্ক্রল পেইন্টিংয়ের পক্ষকালব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এ পেইন্টিং প্রদর্শন করা হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোররা দেশের প্রকৃত ইতিহাস জানলে তাদের মেধা, জ্ঞান, শৈল্পিক মন ও মনন বিকশিত হবে। তারা কে কোন ব্র্যান্ড পরবে এটা নিয়ে ভাববে না বা ধন-সম্পত্তির পেছনে কেবল ছুটে বেড়াবে না।
তিনি বলেন, আমারা অনেক দিবস পালন করলেও সেই দিবসের মাহাত্ম্যটা কী, ইতিহাসটা কী- অনেক সময় দেখা যায় আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে পারে না। কাজেই দেশের সঠিক ইতিহাস প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আরও নজর দেওয়া দরকার।
এর কারণ হিসেবে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের পর ২১ বছর তরুণ প্রজন্মকে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে দেওয়া হয়নি। বরং ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। ফলে অনেকেই আশপাশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয় পরিজন থেকে পরিপূর্ণ বা সঠিক ইতিহাস জানতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মহান ২১শে ফ্রেব্রুয়ারি বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কেন আমরা উদযাপন করি, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নির্মম নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড বা একাত্তরে যেভাবে এদেশে গণহত্যা হয়েছে- তা জানতে হবে। আমাদের সংগ্রাম- সে সময়ে যে সাহস নিয়ে আমাদের নিরস্ত্র বাঙালি অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে, সেই বিজয়ের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। এরকম বহু ঘটনা আমাদের জীবনে রয়েছে, যার সমন্ধে আমাদের শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রজন্মের পর প্রজন্মের জানা উচিৎ।
তিনি বলেন, প্রকৃতি আমাদের এত সুন্দর একটা দেশ দিয়েছে, সেখানে প্রাকৃতিকভাবেই আমাদের সবার মধ্যে এই শৈল্পিক চেতনাটা রয়েছে। এর বিকাশ দরকার।
এ সময় দেশের শিল্প-সাহিত্যে পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রাখতে তার সরকার ও জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তিনিও কাজ করে যবেন বলে উল্লেখ করেন।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: মহাজীবনের মহাপট’ শীর্ষক বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এই স্ক্রল পেইন্টিংয়ের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
বঙ্গবন্ধুর বৈচিত্রময় ও বহুমাত্রিক জীবন তুলে ধরে এ স্ক্রল পেইন্টিং এঁকেছেন দেশের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ। ১৫০ ফুট দীর্ঘ স্ক্রল পেইন্টিংটি বাংলাদেশে সম্পাদিত সর্ববৃহৎ পটভূমিতে জাতির পিতার জীবনভিত্তিক চিত্রকর্ম। চিত্রশিল্পীর ভাষায় মাটি থেকে তৈরি বার্নট অ্যাম্বার রঙের মাধ্যমে মাটি থেকে উঠে আসা ইতিহাসের এই মহানায়ককে চিত্রিত করেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। স্ক্রল পেইন্টিংয়ের শিল্পী শাহজাহান আহমেদ বিকাশ অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রদর্শনীর আয়োজন সহযোগী বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘মাত্রা’র পক্ষ থেকে ম্যানেজিং পার্টনার শিল্পী আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের সভাপতি জামাল আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মুজিববর্ষের থিম সং এবং স্ক্রল পেইন্টিংয়ের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads