আগামীকাল শুক্রবার থেকে ওয়েবসাইটে মিলবে ট্রেনের টিকিট » Itihas24.com
ঈশ্বরদী১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আগামীকাল শুক্রবার থেকে ওয়েবসাইটে মিলবে ট্রেনের টিকিট

অপুর্ব চৌধুরী, বিশেষ প্রতিবেদক
মার্চ ২৪, ২০২২ ৩:৪২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাত পর্যন্ত কাউন্টার থেকে হাতে লিখে পুরনো পদ্ধতিতে টিকিট বিক্রি করা হবে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২:০০টা থেকে পুনরায় অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। শুরুতে শুধু ওয়েবসাইট থেকেই টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। থাকবে না কোন মোবাইল অ্যাপ।

জানা যায়, নতুন ওয়েবসাইট থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট করতে হবে। পুরনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়ে নতুন সাইটে লগ-ইন করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি যৌথভাবে টিকিটিং সিস্টেম তৈরি করেছে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-এর সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

বাস – লঞ্চ টিকিট বিক্রি করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সহজ ১৫ বছর ধরে ব্যবহৃত রেল টিকিটিং সিস্টেমের আদলে একটি সমমানের পদ্ধতি মাত্র ২১ কর্মদিবসে তৈরি করেছে। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পেয়েছে। টিকিটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সিস্টেম পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণও প্রদান করেছে সহজ। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করেছে সিএনএস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ওই চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআইটিএস দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়েতে ১৯৯৪ সালে কম্পিউটার ভিত্তিক টিকিটিং সিস্টেম চালু করা হয়। ২৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করা হতো। বর্তমানে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ৭৭টি স্টেশনে কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে। দৈনিক প্রায় ৯০ হাজার ও মাসিক প্রায় ২৭ লাখ যাত্রীর টিকিট কম্পিউটারের মাধ্যমে ইস্যু করা হয়। এ সকল টিকিটের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৩ লাখ টিকিট ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইস্যু করা হচ্ছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত (২৬ মার্চ, ২০২২) হতে চালুকৃত বাংলাদেশ রেলওয়ের ই-টিকেটিং সিস্টেমে টিকেট ক্রয়ের নিয়মাবলী/পদ্ধতিঃ

Registration প্রক্রিয়াঃ (শুধুমাত্র একবার করতে হবে)।

প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।

ওয়েব সাইটটির নীচের দিকে “Registration” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

Create an Account” নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে “Personal Information” এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে পূরণ করতঃ Security code ঘরের পাশে প্রদর্শিত “Security Code” দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।

সকল তথ্যাদি সঠিক থাকলে “Registration Successful” নামে নতুন একটি Page আসবে।

ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষনিকভাবে আপনার প্রদত্ত ই-মেইল ঠিকানা Bangladesh Railway এর থেকে একটি ই-মেইল পাঠানো হবে।

আপনার ই-মেইল এর মেসেজ বক্সে Bangladesh Railway প্রদত্ত ই-মেইলটি খুলতে হবে। মেসেজের ভিতর রক্ষিত “Click” লিংকটিতে ক্লিক করতে হবে। এ প্রক্রিয়ার পর যাত্রীর Registration প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে।

ক্রয় প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে।

“Log in” এর প্যানেল ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতঃ “Log in” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এরপর যে Pageটি আসবে তাতে “Purchase ticket” বাটনে ক্লিক করতে হবে।

এখানে যে Pageটি আসবে সে Page এ আপনার চাহিত ভ্রমণ তারিখ, প্রারম্ভিক স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন, ট্রেনের নাম, শ্রেনী, টিকেট সংখ্যা যেভাবে রয়েছে তা পূরণ করতে হবে। এর পরের পেইজে “Registration Seat Available” দ্বারা চাহিত টিকেট এবং এর মূল্যমান জানিয়ে দেয়া হবে। টিকেট থাকলে “Purchase ticket” বাটন ক্লিক করতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের একাউন্ট মারফত যাত্রির জমাকৃত টাকা থেকে টিকেট মূল্য কেটে নেয়া হবে এবং যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে টিকেট নিশ্চিত করা হয়ে থাকে।

ই-মেইল মেসেজ বক্স থেকে প্রেরিত টিকেটটির প্রিন্ট নিয়ে ফটো আইডিসহ ই-টিকেট প্রদত্ত “Ticket Print Information” প্রদান করে সংশ্লিষ্ট সোর্স ষ্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেট সংগ্রহ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads