ত্যাগের মহিমা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের আমেজে ঈশ্বরদীতে আজ রবিবার (১০ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঈদের নামাজ ও পশু কোরবানির মধ্যদিয়ে পালন করছেন তাদের অন্যতম প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। ঈদের খুৎবাহ পূর্ব বয়ানে ঈদগাহে ইমাম-খতীবরা কোরবানির ওপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।
হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বছর আগে থেকে শুরু হয় কোরবানির এ প্রচলন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ.) তার প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। অনন্য এ ঘটনার স্মরণেই ঈদুল আজহায় কোরবানির প্রচলন। মহান আল্লাহপাকের প্রতি আনুগত্য এবং তাঁরই রাহে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের এ ঐতিহাসিক ঘটনার ধারাবাহিকতায় মুসলিম বিশ্বে কোরবানি ও ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়ে আসছে।
সকালে ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা স্থানীয় ঈদগাহ ও মসজিদে সমবেত হন। ঈদগাহ ও মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল নামে। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে নিজের পাপমোচন এবং পরিবার-পরিজন, দেশ, জাতির কল্যাণ সুখ-শান্তি, করোনা মহামারী, বন্যার্ত অসহায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং মুসলিম উম্মার সমৃদ্ধি কামনা করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
ঈশ্বরদীতে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। সকাল ৭টায় জামাত শুরু হয়। ঈদের নামাজে সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ উৎসব আমেজে সেখানে নামাজ আদায় করেন। এছাড়াও ঈশ্বরদীর প্রতিটি গ্রাম,পাড়া মহল্লার ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞাপন