রূপপুরের ইউরেনিয়াম আসবে সেপ্টেম্বরে, পরিবহন হবে সড়কপথে » Itihas24.com
ঈশ্বরদী২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর

রূপপুরের ইউরেনিয়াম আসবে সেপ্টেম্বরে, পরিবহন হবে সড়কপথে

বিশেষ প্রতিবেদক
জুলাই ৪, ২০২৩ ৪:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর জন্য এ বছরের সেপ্টেম্বরে পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান আসবে বলে জনিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ।

কর্মকর্তারা বলছেন, পরিবহনের সময় আমদানি করা জ্বালানির কোনো ক্ষতিজনিত কারণে সম্ভাব্য আর্থিক লোকসানের পুরো ঝুঁকিই সরকারকে বহন করতে হবে

তবে পারমাণবিক জ্বালানি ঢাকার বিমানবন্দর থেকে প্রকল্প এলাকায় পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকার শুরুতে কোনো বিমা করছে না বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা জানান, প্রকল্পের ব্যয় ও বিদ্যুতের দামের ওপর প্রভাব বিবেচনাসহ বেশ কিছু কারণে এখনই বিমা করা হচ্ছে না।

তার বদলে কর্তৃপক্ষ এখন পরিহবন প্রক্রিয়া চলাকালে পারমাণবিক ঘটনার ক্ষতির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘আর্থিক নিশ্চয়তাপত্র’-এর ওপর নির্ভর করছে।

এর ফলে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে প্রকল্প এলাকায় পরিবহনের সময় রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা জ্বালানির কোনো ক্ষতিজনিত কারণে সম্ভাব্য আর্থিক লোকসানের পুরো ঝুঁকিই সরকারকে বহন করতে হতে পারে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটে বছরে ৭০-৮০ টন ইউরেনিয়াম প্রয়োজন হবে। প্রতি ১৮ মাস পরপর চুল্লিতে (রিয়্যাক্টর) ইউরেনিয়াম লোড করা হবে। প্রতি কেজি ইউরেনিয়ামের জন্য সরকারের খরচ পড়বে ৫৫০ ডলার।

আশা করা হচ্ছে আগামী বছর থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে।

রাশিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে ইউরেনিয়াম। বিশেষ উড়োজাহাজে বিশেষায়িত কনটেইনারে আনা হবে এই ইউরেনিয়াম। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ইউরেনিয়ামভর্তি বিশেষায়িত কনটেইনার নেওয়া হবে প্রকল্প এলাকা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে। এজন্য বেশ কিছু জনশক্তিকে প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে মন্ত্রণালয় সূত্রে।

নিরাপত্তা প্রটোকল সঠিকভাবে মানা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) পুরো কার্যক্রমটি তত্ত্বাবধান করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান টিবিএস বলেন, নিরাপত্তার কারণে পারমাণবিক জ্বালানির পরিবহন পদ্ধতিকে একটি গোপনীয় বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশও নিরাপত্তার কারণে এ ধরনের জ্বালানি পরিবহনের বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখে।

গত ৫ জুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি পরিবহনকালে যেকোনো পারমাণবিক ঘটনাজনিত ক্ষতির জন্য আর্থিক নিশ্চয়তাপত্র জারির অনুরোধ জানিয়ে অর্থ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগাম খরচ অনেক বেশি হলেও, প্রকল্পটির আয়ুষ্কাল হবে ৬০ বছর। এই দীর্ঘ আয়ুষ্কালের ফলে এখান থেকে দীর্ঘমেয়াদে সাশ্রয়ী ও নিঃসরণমুক্ত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads