উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) পেছানোর দাবিতে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও পথসভা করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রায় আড়াই বছর সময় পেয়েছিলেন। আড়াই বছর সময় নিয়ে তাদের ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীরা মাত্র দেড় বছর সময় পেয়েছে। উপরন্তু তাদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এ ছাড়া গত বছর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি)
বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া না হলেও এবার সে বিষয়েও পরীক্ষা হবে। সবদিক বিবেচনা করে তারা পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে নেওয়া এবং ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানায়।
একজন শিক্ষার্থী এ সময় বলে, ‘আমরা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এর মধ্যে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে কোনো আশ্বাস কিংবা পদক্ষেপ নেওয়া না হলে সারাদেশে আন্দোলন জোরদার করা হবে।’
এসময় ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ, সরকারি এসএম স্কুল এন্ড কলেজ ও পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষার্থীরা এসব বিক্ষোভে অংশ নেন।১৭ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর কথা রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বুধবার বেলা পৌনে দুইটার দিক থেকে বেশ কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রেসক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা এখানে পরীক্ষা পেছানো ও ঢাকায় আন্দোলনরত এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মারধরের প্রতিবাদে পথসভা হয়।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাজিব তাসরিব মাহি, আবু তালেব, ইব্রাহিম রহমান, লাবিব মল্লিক, নাহিয়ান কবির, জুবায়ের তাফিম, মাসজিদুন কিতাব, মুনতাসির শ্রাবণ, তাহের মাহমুদ প্রমূখ।