রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান আনতে সাইবেরিয়ায় চূড়ান্ত প্রটোকল সই - Itihas24.com
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
ঢাকাবুধবার , ৯ আগস্ট ২০২৩
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান আনতে সাইবেরিয়ায় চূড়ান্ত প্রটোকল সই

বিশেষ প্রতিবেদক
আগস্ট ৯, ২০২৩ ৭:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মানাধীন রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান আনতে সাইবেরিয়ায় চূড়ান্ত প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বুধবার (৮ আগস্ট) সাইবেরিয়ায় অবস্থিত ইউরেনিয়াম প্ল্যান্টে বাংলাদেশ-রাশিয়ার এই প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর এবং রাশিয়ার পক্ষে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. ডেইরি এই প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়ার ফুয়েল (ইউরেনিয়াম) ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে রূপপুরের জ্বালানি প্রস্তুত করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সব বিধি অনুসরণ করে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের শুরুর দিকে প্রথম ব্যাচের ইউরেনিয়াম বাংলাদেশের রূপপুর প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছাবে।

নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (এনপিসিবিএল) সূত্র এই প্রটোকল স্বাক্ষরের বিষয়টি  নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ৩১ জুলাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক (ডিজি) অ্যালেক্সি লিখাচেভ। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকে লিখাচেভের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) কাজ শত বাধা অতিক্রম করে এগিয়েছে এবং এই কেন্দ্রের জন্য পরমাণু জ্বালানি সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইহসানুল করিম আরও বলেন, রোসাটম ডিজি প্রধানমন্ত্রীকে আরএনপিপির সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে অবহিত করেছেন। তারা আরএনপিপির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়েও কথা বলেন।

উল্লেখ্য, পাবনার এই প্রকল্পটি থেকে পরমাণু বিদ্যুতের দুটি ইউনিটের মাধ্যমে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণকাজ প্রায় শেষদিকে। সময়মতোই বৃহৎ এই প্রকল্পটি চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানমন্ত্রী ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

এদিকে পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পাবনার রূপপুরের মাটিতে প্রায় এক দশক থেকে চলছে নির্মাণের মহাযজ্ঞ। এই মেগা স্থাপনার নির্মাণকাজ এখন প্রায় শেষদিকে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটি বহুমাত্রিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে একদিকে দেশ যেমন বিজ্ঞানের উৎকর্ষে নতুন স্তরে উন্নীত হবে, তেমনি নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের অনন্য উৎস পাবে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে পরমাণু সমৃদ্ধ দেশগুলোর এলিট প্ল্যাটফর্ম বা নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হিসেবে নাম লিখিয়েছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রটির ভি-ভি-ই-আর টুয়েলভ হান্ড্রেড টাইপের দুটি রিঅ্যাক্টর থেকে উৎপাদিত হবে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। চালু হলে অন্তত ৮০ বছর ধরে টানা বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে এই প্ল্যান্ট থেকে।

অতি বৈজ্ঞানিক স্পর্শকাতর এই স্থাপনাটি নির্মাণে কারিগরি সহায়তা ও আর্থিক ব্যয়ের বেশির ভাগই আসছে রাশিয়া থেকে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত পরমাণু সংস্থা রোসাটমের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট এটির নির্মাণ প্রায় শেষদিকে নিয়ে এসেছে।

error: Please Stop!!You can not copy this content becuase this site content is under protection. Thank You Itihas24 Developer Team