বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমন্ডলির সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জামান সেলিমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে পাবনার ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি ১৭ আগস্ট রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে ঢাকার পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।
ঈশ্বরদী ঈদগাহ মাঠে শনিবার গার্ড অব অনার শেষে শামছুজ্জামান সেলিমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক রহিন হোসেন প্রিন্স, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নায়েব আলী বিশ্বাস, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু,বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমিউনিস্ট পার্টির নেতাকর্মী ও স্থানীয় মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে প্রয়াত শামছুজ্জামান সেলিমের মরদেহ শুক্রবার (১৮ই আগস্ট) পুরানা পল্টনে দলটির কার্যালয় মুক্তি ভবনে নেওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্টির সকল স্তরের নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার বাদ জুম্মা তার ঢাকা রায়ের বাজার মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, শামছুজ্জামান সেলিম দীর্ঘদিন ধরে কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। চাকরি সূত্রে পাকশীর নর্থ বেঙ্গল পেপার মিল সিবিএর নির্বাচিত সম্পাদক ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পর চাকরি ছেড়ে সিপিবির সার্বণিক কর্মী হন, যুক্ত হন তেমজুর আন্দোলনে। পরে ক্ষেতমজুর আন্দোলনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সার্বণিক রাজনীতিক শামছুজ্জামান সেলিম বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সাময়িকীতে নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তাঁর প্রকাশিত বই ‘উৎসের সন্ধানে’ (পরিশীলিত রাজনীতির সুচিন্তিত প্রয়াস) রাজনৈতিক পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয়েছে।
শামছুজ্জামান সেলিম বুলগেরিয়ায় দুই বছর রাজনীতির বিভিন্ন কলাকৌশলের উপর প্রশিণ গ্রহণ করেন। এছাড়া তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন সফর করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন ত্যাগি আপসহীন নিবেদিতপ্রান একজন কমিউনিস্ট নেতা।
বিজ্ঞাপন