স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ আসনে ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী শামসুল হক টুকুকে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) ইকরামুল কবির।
শামসুল হক টুকুর বরাবর ইকরামুল কবিরের স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, টুকুর বিরুদ্ধে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী হিসেবে আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এ উল্লেখিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট নিম্ন লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তার বাসভবনে গত ১৪ ডিসেম্বর মাগরিবের পর তিনি স্থানীয় ও সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্যোগে কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের নিয়ে নির্বাচনী মিটিং করেন। মিটিং-এ নৌকা মার্কায় ভোট চান এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকগণদের নৌকায় ভোট প্রদানে উদ্বুদ্ধ করেন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী হিসেবে আচরন বিধিমালা, ২০০৮ এর ১২ বিধির লঙ্ঘন।
এছাড়াও উক্ত অভিযোগ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য থাকলে তা নিম্ন স্বাক্ষরকারীর নিকট সরাসরি প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে আগামী ২ (দুই) কার্যদিবসের মধ্যে প্রদান করার জন্য বলা হয়। অন্যথায় টুকুর ব্যাখ্যা ছাড়াই নির্বাচন কমিশন এর নিকট তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানানো হয় ওই নোটিশে।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ায় টুকুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে পাবনা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। পরে সেটা লিখিত অভিযোগ আকারে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন