ঈশ্বরদীর কৃতি সন্তান ডাঃ কামরুলের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী » Itihas24.com
ঈশ্বরদী১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈশ্বরদীর কৃতি সন্তান ডাঃ কামরুলের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিবেদক
মার্চ ২৪, ২০২২ ৯:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈশ্বরদীর কৃতি সন্তান গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলামের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২২’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের কিডনি চিকিৎসায় কিংবদন্তিতুল্য চিকিৎসক ঈশ্বরদীর সন্তান অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম। সৃষ্টি ও স্রষ্টার সেবাই যার ধ্যানজ্ঞান। অনেকটা নীরবে এই মহান চিকিৎসক মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের কিডনি রোগীদের জন্য তিনি যেন এসেছেন বিশেষ দূত হয়ে। এরইমধ্যে বিনা পয়সায় এক হাজার ৭০টি কিডনি প্রতিস্থাপনের অনন্য নজির স্থাপন করেছেন তিনি।

চিকিৎসা সেবায় অসামান্য অবদানের জন্য গুণী এই চিকিৎসককে এবছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে ছয়জন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম (মরণোত্তর), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদদীন আহমেদ, মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস (মরণোত্তর) এবং সিরাজুল হক (মরণোত্তর)।

‘চিকিৎসাবিদ্যা’ ক্যাটাগরিতে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং ‘স্থাপত্যে’ মরহুম স্থপতি সৈয়দ মঈনুল ইসলাম স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।

এছাড়া ‘গবেষণা ও প্রশিক্ষণে’ পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং মুজিববর্ষে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করায় বিদ্যুৎ বিভাগকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, সম্মাননাপত্র ও পাঁচ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

গত ১৫ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য ১০ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ‘সাহিত্য’ ক্ষেত্রে মরহুম আমির হামজাকে রাষ্ট্রীয় এ সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

তালিকা ঘোষণার পরই আমির হামজাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।  সংশোধিত তালিকায় ৯ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল। পরে ওই তালিকায় যুক্ত হয় ‘বিদ্যুৎ বিভাগ’।

১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে সরকার। এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads