ঈশ্বরদীতে বাড়ছে পদ্মার পানি, দেখা দিয়েছে ভাঙন » Itihas24.com
ঈশ্বরদী১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
ঈশ্বরদীর সবশেষ নিউজ । ইতিহাস টুয়েন্টিফোর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঈশ্বরদীতে বাড়ছে পদ্মার পানি, দেখা দিয়েছে ভাঙন

নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২১, ২০২২ ৫:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়েই চলেছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এর ফলে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা। প্রতিদিনই ৩০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পানি বাড়ায় ডুবতে শুরু করেছে নদীর চরাঞ্চল।

উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বাড়ছে। নদী ভাঙনের ফলে হুমকির মধ্যে রয়েছে সাঁড়ায় লালনশাহ সেতু রক্ষাবাঁধ ও নদীর বাম তীর সংরক্ষণ বাঁধটি। সাঁড়ার থানাপাড়া ও ব্লকপাড়ায় বাঁধের সামনের জমি ভাঙতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে বাঁধের সামনের ১০ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে।

সাঁড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া ব্লকপাড়া গ্রামের হজরত আলী বলেন, সাঁড়ার এই নদীরপাড়ে কয়েক মাস আগে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন ফের নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙতে ভাঙতে বাঁধের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছে। এভাবে ভাঙতে থাকলে নদীরক্ষা বাঁধেও ভাঙন দেখা দিতে পারে। সেজন্য আমরা আতঙ্কে আছি।

সাঁড়া থানাপাড়া এলাকার আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, নদীর পানি বাড়ছে দেখে আমাদের মনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এমনতিই নদীতে আমাদের বসতবাড়ি-জমিজমা হারিয়েছি। এখন বাঁধের পাশে রেলের পরিত্যক্ত জায়গায় বাড়ি করে আছি। বাঁধের সামনে জমিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীকে তো বিশ্বাস করা যায় না। যদি তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে তো আমাদের বাড়িঘরও ভেঙে যাবে।

সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, সাঁড়ার ব্লকপাড়া ও থানাপাড়ায় এর আগে ভাঙন দেখা দেওয়ায় তিন দফায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে ফোন দিয়ে নদী এলাকার খোঁজ-খবর রাখতে বলেছেন। আমি সরেজমিনে নিজে নদী এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং এলাকার বাসিন্দাদের এ বিষয়ে জানিয়েছি, কোনো সমস্যা দেখা দিয়ে তারা যেন আমাকে দ্রুত জানায়। আমাদের কৃষকরা প্রতিদিনই খুঁটি দিয়ে পানি পরিমাপ করে থাকেন। গতকালের চেয়ে আজ প্রায় ২০ ইঞ্চি পানি বেড়েছে। তীব্র ভাঙন দেখা দিলে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ড পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টের গ্রেজ রিডার আরিফুন নাঈন ইবনে সালাম  বলেন, মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুর ১২টায় পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ৯ দশমিক ৪০ মিটার। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ মিটার। এখনো বিপৎসীমার প্রায় পাঁচ মিটার নিচে রয়েছে পানি প্রবাহ।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনই পানি বাড়ছে। গতকালের (সোমবার) চেয়ে আজ পানি বেড়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান সুজন  বলেন, কিছুদিন আগে আমি সরেজমিনে সাঁড়া ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। সেখানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। আবারও ভাঙন দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

BONOLOTA IT POS ads