মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল ওরা। কিন্তু জাতির বীর সন্তানরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ছিনিয়ে এনেছে মাতৃভাষা, প্রাণের ভাষা বাংলা। অতঃপর প্রতিষ্ঠা পেয়েছে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে। জাতির সেই বীর সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে সম্মান প্রদর্শন শুরু হবে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর। সে লক্ষ্যে ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঈশ্বরদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতির কারণে একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের খায়রুজ্জামান বাবু বাসটার্মিনালে অবস্থিত ঈশ্বরদী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদীর চারদিকে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য স্টিলের (এস এস পাইপের) বেষ্টনি দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনার চত্বরে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নতুনভাবে রং ও ধোয়া মুছা করা হয়েছে। যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা বলেন, শহীদ মিনারের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে। চলমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর কারণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ বছর সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক পরিধান করতে হবে। যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন।
বিজ্ঞাপন